বেগম রোকেয়া বিশবিদ্যালয়

নিয়োগ কার্যক্রমে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ

  © ফাইল ফটো

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞাপিত চারটি সহকারী রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি এনায়েতুর রহীম ও বিচারপতি মোশাররফ হোসেন এর একটি বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের চার কর্মকর্তার রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এই রুল জারি করেন। একইসাথে ওই চার কর্মকর্তাকে উক্ত চার পদে কেন পুনর্বহাল করা হবে না জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট এবং আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

মামলার বরাত দিয়ে অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার মো. তারিকুল ইসলাম, মো. জিয়াউল হক, সাহানা পারভীন ও মোছা. শাফিয়া শবনম ২০০৯ সালে এই বিশ^বিদ্যলয়ে সেকশন অফিসার পদে যোগদান করেন। নীতিমালা অনুযায়ী সহকারী রেজিস্ট্রার পদে পদোন্নতির জন্য তারা আবেদন করেন। সহকারী রেজিস্ট্রার শুন্য পদ না থাকায় ৩০ সেপ্টম্বর ২০১৪ তারিখে অনুষ্ঠিত ৪২তম সিন্ডিকেট সভার অনুমোদনক্রমে কর্তৃপক্ষ তাদেরকে আপগ্রেডেশনের মাধ্যমে সহকারী রেজিস্ট্রার পদে পদোন্নতি দেন।

পরবর্তীতে সহকারী রেজিস্ট্রারের পদ শুন্য হওয়ায় ১৭ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে অনুষ্ঠিত ৪৩তম সিন্ডিকেট সভায় এই চার জনকে উক্ত শুন্য পদে (সহকারী রেজিস্ট্রার) প্রতিস্থাপন করেন। এরফলে চারটি সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) পদ শুন্য হয়। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে উক্ত চারটি পদসহ মোট ৫টি সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয় কর্তৃপক্ষ।

১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে অনুষ্ঠিত ৫৫তম সিন্ডিকেট সভায় উক্ত ৫টি পদের মধ্য থেকে ২টি পদে নিয়োগ প্রদান করা হয় এবং বিজ্ঞাপিত বাকী পদগুলো পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীদের বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এদিকে কর্মকর্তা পদোন্নতি/আপগ্রেডেশন নীতিমালা অনুযায়ী এই চার কর্মকর্তারা সকলেই আবারো আপগ্রেডেশনের মাধ্যমে ডেপুটি রেজিস্ট্রার হিসেবে পদোন্নতি পান। বর্তমানে তারা সকলে ডেপুটি রেজিস্ট্রার হিসেবে বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত রয়েছেন। যেহেতু আপগ্রেডেশনের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন সেহেতু তাদের মূল পদ সহকারী রেজিস্ট্রার।

কিন্তু ১৭ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে অনুষ্ঠিত ৪৩ তম সিন্ডিকেট সভায় তাদের চার জনকে যে ৪টি সহকারী রেজিস্ট্রার শুন্য পদ দেওয়া হয়েছিলো তা গত ১ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে অনুষ্ঠিত ৬৭তম সিন্ডিকেট সভায় বাতিল করে পুনরায় তাদের মূলপদ সহকারী রেজিস্ট্রার-এর পরিবর্তে সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) পদে অবনমন করেন। বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে তারা হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তফা কামালের সাথে কথা বলতে তার দপ্তরে গেলে জানা যায় তিনি ঢাকায় আছেন। পরে তাকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


সর্বশেষ সংবাদ