আড়ংয়ের চেঞ্জরুমে গোপনে ধারণ করা ৩৭ ভিডিও উদ্ধার

  © সংগৃহীত

গ্রেফতার হওয়া আড়ংয়ের চাকরিচ্যুত কর্মী সিরাজুল ইসলাম সজীবের কাছ থেকে কর্মচারী চেঞ্জরুমে গোপনে ধারণ করা ৩৭টি পোশাক পরিবর্তনের ভিডিও উদ্ধার করা হয়েছে। সবগুলো ভিডিও আড়ংয়ে কর্মরত তরুণীদের।

গত ২৫ জানুয়ারি মিরপুরের পূর্ব শেওড়াপাড়া থেকে সজীবকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে একদিনের রিমান্ডে নেয় ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি ও ক্রাইম বিভাগ। তদন্তের সময় সজীবের কাছ থেকে ৩৭টি ভিডিও উদ্ধার করা হয়। এগুলো আড়ংয়ের বনানী শাখার তরুণী স্টাফদের পোশাক পরিবর্তনের সময় ধারণ করা হয়।

তদন্ত সূত্র জানায়, উদ্ধারকৃত ৩৭টি ভিডিও ৮-১০ জন স্টাফ তরুণীর। তারা ডিউটির শুরুতে স্টাফ চেঞ্জরুমে নিজেদের সাধারণ পোশাক পরিবর্তন করে আড়ংয়ের নির্ধারিত ইউনিফর্ম পরেন। আবার ডিউটি শেষে ইউনিফর্ম বদলে নিজেদের কাপড় পরে বের হয়ে যান। সেসময়ই গোপনে সেলফি স্টিক দিয়ে ওই রুমে স্থাপিত ক্যামেরায় ভিডিও করতেন সজীব।

এক সহকর্মীর ভিডিও ধারণ ও সামাজিক মাধ্যমে আপলোডের অভিযোগে গত বছরের ডিসেম্বরে তাকে চাকরিচ্যুত করে আড়ং। তবে এর পরপরই জানুয়ারিতে সজীব ২২ বছর বয়সী এক তরুণী স্টাফের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে তার কাপড় পরিবর্তনের ভিডিও পাঠিয়ে তাকে ব্ল্যাকমেইল করেন। ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকিও দেন ওই তরুণীকে।

যে ভিডিও উদ্ধার হয়েছে, সেখানে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার তরুণী ছাড়াও আরও চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তারা।

তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, দেড় বছর আগ থেকে সজীব বিভিন্ন কৌশলে স্টাফদের চেঞ্জরুমে মোবাইলের ক্যামেরার মাধ্যমে ভিডিও করতে থাকেন। এ পর্যন্ত তিনি অনেকের ভিডিও ধারণ করলেও একজন তরুণীই শেষ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। সজীব ওই তরুণীর ম্যাসেঞ্জারে ছবি পাঠিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন এবং চাঁদা দাবি করেন।

এ বিষয়ে ডিএমপির সাইবার ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) নাজমুল ইসলাম বলেন, আসামি রিমান্ডে রয়েছেন। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি।


সর্বশেষ সংবাদ