তরুণীকে ৭ টুকরো করে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড

বরগুনার আমতলী পৌরসভায় ফারিয়া আক্তার মালাকে সাত টুকরো করে হত্যার মামলায় রায় দিয়েছেন আদালত। শহরের হাসপাতাল সড়কে ২০১৭ সালে এ ভয়াবহ হত্যার ঘটনা ঘটে। 

আজ রবিবার (২৬ জানুয়ারি) ওই ঘটনায় অভিযুক্ত চারজনের মধ্য একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল। এছাড়া একজনকে যাবজ্জ্বীবন, একজনকে সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। অপর একজন খালাস পেয়েছেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মোঃ হাফিজুর রহমান এ রায় দেন। এসময় সকল আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন পিপি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল। আসামি পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এ্যাডভোকেট কমল কান্তি দাস।

মামলার বিবরনী অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ২৪ জানুয়ারি ফারিয়াকে আমতলীতে এক নম্বর আসামি আলমগীর হোসেন বেড়াতে নিয়ে যায়। এরপর সে দুই নম্বর আসামি এ্যাডভোকেট মাইনুল আহসানের বাসায় নিয়ে যায় মালাকে। সেখানে যৌন নির্যাতন করে কুপিয়ে হত্যা করে ৭ টুকরো লাশ ড্রামে ভর্তি করে রাখা হয়।

পরে পুলিশ খবর পেয়ে ওই বাসায় তল্লাশী চালিয়ে ড্রাম ভর্তি লাশ উদ্ধার করে। তাৎক্ষনিকভাবে আলমগীরকে গ্রেফতার করা হয়।

এ ঘটনায় বাদী হয়ে আমতলী থানায় আলমগীর ও মাঈনুলকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন মালার বাবা আব্দুল মান্নান। তদন্ত শেষে আলমগীর হোসেন পলাশ, মাঈনুল আহসান বিপ্লব, আইনজীবীর সহকারী রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ এবং বিপ্লবের স্ত্রী ইমা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করে পুলিশ।


সর্বশেষ সংবাদ