ফ্রেন্ডস কাল জেলে যেতে পারি—গণধর্ষণের পর লাইভে ধর্ষকেরা

  © সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নয়নপুর এলাকায় জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এনার্জি ড্রিংকের সঙ্গে নেশা দ্রব্য মিশিয়ে অচেতন করে এক কিশোরীকে গণধর্ষণ করে চার বন্ধু। গত ১৫ জানুয়ারি রাতে এমন ঘটনা ঘটে গাজীপুরের শ্রীপুরের নয়নপুর এলাকায়। এদিকে ঘটনার পরপরই থানায় ধর্ষণ মামলা করেন ভুক্তভোগীর মা। পরে ময়মনসিংহের ত্রিশাল থেকে র‌্যাব চার জনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতাররা হলেন- কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর থানার নৈয়পুরা গ্রামের সোহরাব উদ্দিনের ছেলে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি শরীফ হোসেন (১৮), ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানার উজান চন্দ্রপাড়া গ্রামের লিটন মিয়ার ছেলে ইমরান হাসান সুজন (১৯), গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নয়নপুর গ্রামের সাবাজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে শরিফ উদ্দিন মোল্লা (২০), ধর্ষণের পরিকল্পনাকারী ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার গোলাভিটা গ্রামের মো. জসিম উদ্দিনের ছেলে আহসান ওরফে হাসান (১৬)।

প্রথমে শরীফ হোসেনকে গাজীপুরের রাজবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যমতে ইমরান হাসান সুজন, শরিফ উদ্দিন মোল্লা ও আহসান ওরফে হাসানকে ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে র‌্যাব। তারা পরিবারসহ নয়নপুর এলাকায় ভাড়া থাকতো।

জানা যায়, জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এনার্জি ড্রিংকের সঙ্গে নেশা দ্রব্য মিশিয়ে অচেতন করে এক কিশোরীকে গণধর্ষণ করে চার বন্ধু। ধর্ষণের পর ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে তারা হাসতে হাসতে বলতে থাকে—হ্যালো ফ্রেন্ডস আগামীকাল হয়তো জেলে থাকবো, কারো সঙ্গে আর দেখা হবে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ভিডিও ছড়িয়ে পরতেই শুরু হয় চাঞ্চল্য। মামলার ২নং আসামি ইমরান হাসান সুজন তার মোবাইল ফোনে ওই ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তার ফেসবুক আইডিতে আপলোড করে বলে গ্রেফতাররা স্বীকার করেছে।


সর্বশেষ সংবাদ