চাকরি দেয়ার নামে টাকা আত্মসাৎ করলেন প্রধান শিক্ষক

অভিযুক্ত শিক্ষক মেজবাহ উদ্দিন মিয়া
অভিযুক্ত শিক্ষক মেজবাহ উদ্দিন মিয়া  © সংগৃহীত

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরির প্রলোভেন দেখিয়ে বেকার যুবকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তার নাম মেজবাহ উদ্দিন মিয়া। তিনি শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নে সখিপুর ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। ঘটনা জানাজানি হলে পুরো এলাকাজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বস্তন কর্মকর্তা তার আত্মীয় হয় এবং তিনি চাকরি দিতে পারবেন এমন নিশ্চয়তা দেন মেজবাহ। এভাবে স্থানীয় কয়েকজন যুবককে বোকা বানিয়ে তাদের কাছ থেকে ২ থেকে ৫ লাখ টাকা উত্তোলন শুরু করেন মেজবাহ। কিন্তু গত ২৪ ডিসেম্বরে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, এসব চাকরিপ্রত্যাশীদের কারো নামই ওঠেনি চূড়ান্ত তালিকায়। এর পর তারা মেজবাহউদ্দিন মিয়ার কাছে টাকা ফেরত চাইতে গেলে তিনি গড়িমসি শুরু করেন।

এ বিষয়ে সখিপুর ইউনিয়নের মাঝি কান্দি গ্রামের বাসিন্দা ভুক্তভোগী ইয়াসিন মিয়া বলেন, লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষাসহ চাকরির শতভাগ নিশ্চয়তার কথা বলে মেজবাহ উদ্দিন মাষ্টার আমার কাছ থেকে ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা নিয়েছে। কিন্তু আমার চাকরি হয় নাই। এখন বার বার সময় নিয়েও টাকা দিচ্ছেন না তিনি।

টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে অভিযোগের মেজবাহউদ্দিন মিয়া বলেন, আমি অন্যজনের প্ররোচনায় এ কাজটি করেছিলাম। আগামী বুধবারের মধ্যে আমি সবার টাকা ফেরত দিয়ে দেব। এ নিয়ে আর বাড়াবাড়ি না করতে অনুরোধ করছি।

শরীয়তপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, তথ্য প্রমানসহ যদি ভুক্তভোগীরা আমার কাছে আবেদন করেন, তবে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের জুলাই মাসে দেশের প্রতিটি জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ১ আগষ্ট থেকে শুরু করে ৩০ আগষ্ট পর্যন্ত চলে এ আবেদন প্রক্রিয়া। এ সময় ভেদরগঞ্জ উপজেলা থেকেও শত শত চাকরিপ্রত্যাশী আবেদন করেন। শিক্ষক নিয়োগের এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ১নং সখিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেজবাহউদ্দিন মিয়া প্রতারণার জাল ছড়ায়।