পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রকাশ্যে যুবলীগ সভাপতির মারধর

জামালপুর জেলা
জামালপুর জেলা  © ফাইল ফটো

পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট ও দুজন টিএসআইসহ মোট পাঁচজন পুলিশ সদস্যকে প্রকাশ্য রাস্তায় মারধরের অভিযোগ উঠেছে জামালপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি রাজন সাহাসহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে।

হামলায় আহত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্টের নাম আব্দুল্লাহ আল মামুন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ও রাতে দুই দফায় এ হামলা চালানো হয় বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই যুবলীগ সভাপতি রাজন সাহাসহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১১ জনের বিরুদ্ধে জামালপুর সদর থানায় মামলা করেছেন মামুন।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে জামালপুর শহরের গেইটপাড়ে ট্রাফিক বক্সের সামনে নম্বর ও হেলমেটবিহীন একটি মোটরসাইকেলের আরোহী মো. মনিরুজ্জামান সাজন, কামরুজ্জামান কামাল ও মো. শাকিলকে আটক করেন মামুন। তাদের ট্রাফিক বক্সে নিয়ে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চাইলে তারা ট্রাফিক সার্জেন্টের সাথে দুর্ব্যবহার করেন।

রাত সোয়া ১০টার দিকে জেলা যুবলীগের সভাপতি রাজন সাহা আরো কয়েকজন দলীয় নেতাকর্মীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক তিন যুবককে ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা করেন।এ সময় ট্রাফিক সার্জেন্ট তাদেরকে ছাড়তে অস্বীকৃতি জানালে তার কাছ থেকে মোটরসাইকেলের চাবি ও পুলিশের প্রসিকিউশন বই কেড়ে নেয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা ট্রাফিক সার্জেন্টকে কিল, ঘুষি দিতে থাকে।

খবর পেয়ে শহরে কর্তব্যরত শহর উপপরিদর্শক (টিএসআই) আবুল কালাম ও জাহাঙ্গীর আলম, পুলিশ সদস্য শাহা আলম ও মো. যোবায়ের হামলাকারীদের কবল থেকে ট্রাফিক সার্জেন্ট আব্দুল্লাহ আল মামুনকে উদ্ধার করতে যান। হামলাকারীরা তাদেরও কিলঘুষি মেরে লাঞ্ছিত ও আহত করেন। এক পর্যায়ে ট্রাফিক সার্জেন্ট তার বেতার যন্ত্রের মাধ্যমে সদর থানায় খবর দিলে একদল পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ মোটরসাইকেল আরোহী ও যুবলীগকর্মী মো. মনিরুজ্জামান সাজনকে আটক করলেও জেলা যুবলীগের সভাপতি রাজন সাহা ও অন্যান্য নেতাকর্মীরা দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যান।

হামলার ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী ও যুবলীগকর্মী মো. মনিরুজ্জামান সাজনকে প্রধান আসামি করে জেলা যুবলীগের সভাপতি রাজন সাহাসহ ১১ জন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর নামে এবং অজ্ঞাত পরিচয়ের আরো ১৫-২০ জনকে আসামি করেন সার্জেন্ট মামুন।

এ ব্যাপারে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালেমুজ্জামান বলেন, ‘ট্রাফিক সার্জেন্টের সরকারি কাজে বাঁধা দান ও তাকেসহ আরো কয়েকজন পুলিশকে মারধর করার ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেই জামালপুর সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাটির প্রধান আসামি মনিরুজ্জামান সাজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’


সর্বশেষ সংবাদ