কিশোরগঞ্জে মাদক কারবারীদের হাতে যুবক খুন

  © সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মাদক কারবারীরা সোহাগ মিয়া (৩৬) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে। নিহত সোহাগ ভৈরব শহরের পঞ্চবটি এলাকার মৃত আবদুল খালেকের ছেলে। তার স্ত্রীসহ ৫টি সন্তান রয়েছে।

গত সোমবার রাতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মাদক কারবারীরা তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। শনিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান। নিহতের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্তের পর সন্ধ্যায় বাড়িতে আনা হয়।

এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে তার মেয়ে সুখী বেগম বাদী হয়ে ভৈরব থানায় ৮ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। পরে পুলিশ এজাহারভুক্ত আসামি মো. রানা (২৯) ও দীপু (৩০)কে বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রেফতার করে।

ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, নিহত সোহাগ পুলিশের সোর্স হিসেবে এলাকায় কাজ করতেন এবং নিজেও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল এমন অভিযোগ রয়েছে। এতে এলাকার অন্য মাদক ব্যবসায়ীরা ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার পঞ্চবটি এলাকায় তাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এ সময় তিনি গুরুতর আহত হলে প্রতিবেশীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

নিহতের ভগ্নীপতি আলফাজ মিয়া জানান, কোনো কারণ ছাড়া প্রতিপক্ষরা তাকে লাঠি ও হকিস্টিক দিয়ে আঘাত করেছে। মাদক নিয়ে বিরোধ এ কথা তিনি অস্বীকার করেন।

তিনি বলেন, সোহাগ কখনও পুলিশের সোর্স ছিল না। তারা মিথ্যা সন্দেহে তাকে মারধর করে মেরে ফেলেছে। হত্যার কঠোর বিচার দাবি করেন তিনি।

ভৈরব থানার ওসি মো. শাহীন জানান, এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে ৮ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। মামলার পরপরই দু'জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, মামলাটি ৩২৬/৩৪ ধারায় করা হলেও এখন হত্যা মামলায় রূপ নিবে। মামলাটি তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।


সর্বশেষ সংবাদ