তদন্তে আটকা ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা, শনাক্ত হয়নি কেউ

  © ফাইল ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় বেশ কয়েকটি মামলা হলেও কারা জড়িত, তা এখনো বের করতে পারেনি পুলিশ। গত মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ডিএমপির একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা দাবি করেন, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশও তদন্ত করছে।

গত ৩০ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের পাশে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। সেদিন স্প্লিন্টারের আঘাতে ক্যান্টিনের কর্মচারী হৃদয় আহত হন। এর আগে হত ২৯ ডিসেম্বর মধুর ক্যান্টিনের সামনে সকালে তিনটি এবং সন্ধ্যায় একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এছাড়া ২৬ ডিসেম্বর একটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়।

পরে ৩০ ডিসেম্বর ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় কোনো থ্রেট মনে করা হচ্ছে না। সবকটি ঘটনা তদন্তে পুলিশ, ডিবি পুলিশসহ অনেকেই কাজ করছে। এখনো কাউকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে শিগগিরই জড়িতদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।’

শাহবাগ থানার এসআই রহিস উদ্দিন বলেন, ‘২৬ ও ৩০ ডিসেম্বরের ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হলেও সেখানে কাউকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সাদাকাতুল ইসলাম বলেন, ‘ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারবে না। শুধু শুধু আতঙ্কে থাকবে শিক্ষার্থীরা। এখন মনে হচ্ছে কখন কোথায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটবে তা কেউ জানে না। মামলা হলেও তা তদন্তেই আটকে থাকবে।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। বিস্ফোরণের আগের ঘটনাগুলোতে মামলাও হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হয়, এমন কর্মকাণ্ড থেকে সব পক্ষকে বিরত থাকার আহবান থাকবে।’

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, ‘ক্যাম্পাস এলাকায় কিছুদিন ধরে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছে। থানা পুলিশের পাশাপাশি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করছে। এখন পর্ন্ত কাউকে শনাক্ত বা গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে যেসব আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে, তাতে জানা গেছে, সেগুলো শুধু ককটেলই ছিল। অন্য কিছু ছিল না।’

তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (দক্ষিণ) উপ-কমিশনার রাজীব আল মাসুদ বলেন, ‘ককটেল বিস্ফোরণ নিয়ে তদন্ত চলছে। এখনো কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।’

রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায়ও একটি মামলা হয়েছে। তবে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। জানা যায়, গত ৩০ ডিসেম্বর ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা হয়েছে।

সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। তদন্ত শেষে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে পল্টন থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেন্টু মিয়া জানিয়েছেন।


সর্বশেষ সংবাদ