ইশারায় নির্যাতন বোঝালেন স্বপন মামার বাক প্রতিবন্ধী মেয়ে (ভিডিও)
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২০, ১১:১০ AM , আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২০, ০৬:৫২ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক মজনুকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। মজনুর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে এ আন্দোলনের মধ্যে বৃহস্পতিবার সাধারণ শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে যোগ দেন টিএসসির পরিচিত মুখ চা বিক্রেতা ‘স্বপন মামা’।
মানববন্ধনে প্ল্যাকার্ড হাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীসহ তার প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণেরও বিচার চান। বিচার চেয়ে দেওয়া বক্তব্যের সময় তিনি কেঁদে ফেলেন। শিক্ষার্থীদের সাথে মানবন্ধনে অংশ নেওয়া জলিল ওরফে স্বপন মামার ছবি ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
জানো গেছে, ২০১৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর স্বপন মামার প্রতিবন্ধী মেয়েকে একই গ্রামের বাচ্চু মিয়া (৭০) ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। ওইদিনই অভিযুক্তসহ তার দুই ভাই বাহার ও আক্কাসকে আসামি করে মামলা করার পর বাচ্চু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর ছয় মাস পর অভিযোগপত্র জমা দেয়া হলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাব্যুনাল থেকে আসামি ২৭ নভেম্বর জামিন পান। এরপর আসামিপক্ষের লোকজন স্বপন, তার ছেলে রনি এবং চাচাতো ভাইকে আসামি করে প্রথমে মাদকের ও ডাকাতির মামলা করে।
বাহ্মণবাড়িয়া সদরের বাসুদেব গ্রামের সেই বাচ্চু মিয়া এখন আরও বেপয়োয়া। মামলা তুলে নিতে ‘স্বপন মামা’ এবং তা পরিবারকে নানা ধরণের হূমকি-ধামকি দিচ্ছেন। এমনকি পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গেও একই ধরণের কাজ করার হুমকি দিচ্ছেন তারা। এতে ন্যায়বিচার পাওয়া থেকে তারা বঞ্চিত হতে পারেন বলে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
একটি বেসরকারি টেলিভিশনে মেয়েটির সাক্ষাৎকার প্রচার হয়েছে। সেখান তার কথা বোঝা না গেলেও তার সঙ্গে কতটা অন্যায় হয়েছে তা স্পষ্ট। ডাক্তারি প্রতিবেদনে তার আলামতও মেলে। বাচ্চু মিয়াকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। পরে গত ২৭ নভেম্বর জামিন পান তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ‘আসামির পক্ষের লোকজন সন্ত্রাসী বাহিনী পালে। নানাভাবে নির্যাতন করে।’ তবে এটিকে চরম অন্যায় অভিহিত করে ধর্ষকের বিচার চেয়েছেন তারা।
এ নিয়ে গণমাধ্যমের কর্মীরা কথা বলতে গেলে বাচ্চু মিয়ার ভাই চড়াও হন তাদের ওপর। জিডি করলেও কোন কাজ হবে না বলে দাবি করেন তিনি। এর আগেও বাচ্চু মিয়ার নামে একই ধরণের অভিযোগ উঠলেও তার বিচার হয়নি বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। মানবাধিকার কর্মীরা এ ঘটনার সঠিক বিচার হওয়া উচিৎ বলে মনে করছেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তারা যখনই সাহায্য চেয়েছে, আমরা করেছি।’ তবে যে পাল্টা মামলা হয়েছে তা অন্য থানায় হয়েছে বলেও জানান তিনি।
পড়ুন: ঢাবি ছাত্রীর সঙ্গে নিজ মেয়ে ধর্ষণেরও বিচার চাইলেন স্বপন মামা (ভিডিও)