বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে সেই ভবনে প্রবেশ করেন রুম্পা!

  © সংগৃহীত

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি ছাত্রী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার লাশ উদ্ধারের পর সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেখানে রুম্পাকে তার বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে সেই ভবনে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। এদিকে রুম্পার মৃত্যুর ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার বয়ফ্রেন্ডসহ ২জনকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, মৃত্যুর দিন কথিত বয়ফ্রেন্ড সৈকতের সঙ্গে সিদ্ধেশ্বরীর ওই ভবনটিতে রুবাইয়াত শারমিন রুম্পাকে ঢুকতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশের (দক্ষিণ) অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) রাজিব আল মাসুদ।

তিনি বলেন, ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজে সৈকতের সঙ্গে রুম্পার ওই ভবনে প্রবেশ করার দৃশ্য পেয়েছে ডিবি। ওইদিন রাত সোয়া ১০টায় তার মরদেহ পাওয়া যায় ভবনটির নিচে। ডিবি জানিয়েছে, এখন বিষয়টি আত্মহত্যা না হত্যা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য সৈকতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

রুম্পার লাশ উদ্ধারের ঘটনা তদন্তে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, আয়েশা কমপ্লেক্সের ৫ম তলায় রুম্পার এক বান্ধবী থাকেন। ওই ভবনের ছাদ থেকে পড়েই রুম্পার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তিনি পড়ে গিয়ে নাকি তাকে কেউ ফেলে দিয়েছে সেটা স্পষ্ট নয়। ওইদিন বিকেল পাঁচটায় রুম্পা তার বান্ধবীর বাসায় গিয়েছিলেন। সেখানে তার বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় কান্নাকাটি করেন। পরে তিনি শান্তিবাগে নজের বাসার পাশে এক ছাত্রীকে পড়াতে চলে যান। সেখানে আধঘন্টার মতো পড়িয়ে বাসায় চলে আসেন রুম্পা। বাসায় ফিরে তিনি আবারো কাজ আছে বলে বেরিয়ে যান। এসময় সন্ধ্যা প্রায় ৭ টা বাজে। পরের সাড়ে ৩ ঘন্টা সময় রুম্পা কোথায় ছিলেন এটা নিয়েই রহস্য দেখা দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ।

ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, দেখে মেনে হয়েছে রুম্পা ওপর থেকে পড়ে মারা গেছে। ওপর থেকে পড়ে মারা যাওয়ার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কি না- সেটি নিশ্চিত হতে তার শরীরর থেকে আলামত সংগ্রহ করেছি।

এর আগে, রাজধানী ঢাকার শান্তিবাগে একটি ফ্ল্যাটে মায়ের সঙ্গে থেকে পড়াশোনা করতেন রুম্পা ও তার ছোট ভাই। পড়াশোনার পাশাপাশি রুম্পা টিউশনি করাতেন। গত বুধবার টিউশনি শেষে বাসায় ফেরার পর রুম্পা। এরপর বাইরে কাজ আছে বলে আবার বাসা থেকে বের হন। কিন্তু এরপর রাতে আর বাসায় ফিরেননি। স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান পাননি। বৃহস্পতিবার রুম্পার মা-সহ স্বজনরা রমনা থানায় গিয়ে লাশের ছবি দেখে তাকে শনাক্ত করেন।


সর্বশেষ সংবাদ