ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় স্টামফোর্ড ছাত্রী রুম্পাকে?

  © সংগৃহীত

রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে হত্যার শিকার হওয়া তরুণীর পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি রুবাইয়াত শারমিন রুম্পা, পড়তেন স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে। দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন তিনি। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে রমনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে।

জানা গেছে, রুম্পা রাজধানীর শান্তিবাগে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তার বাবা হবিগঞ্জে পুলিশের পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে তাকে। তবে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বিস্তারিত জানা যাবে।

গত বুধবার রাতে সিদ্ধেশ্বরীর ৬৪/৪ নম্বর বাসার নিচে তার মরদেহ পড়ে ছিলো। ওই স্থানের আশপাশে বেশকিছু ছেলে ও মেয়েদের হোস্টেল রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে এ ঘটনায় কারা জড়িত থাকতে পারে সে ব্যাপারে কোনো ধারণা নেই বলে জানিয়েছেন নিহত রুম্পার চাচা।

ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষী বাহিনীর সদস্যরা হত্যার আলামত সংগ্রহ করেন। এ ব্যাপারে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে তিনটি বিল্ডিং আছে। এর যেকোনো একটা থেকে পড়ে মারা গেছে রুম্পা। আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা তদন্তাধীন বলেও জানান তিনি।

রুম্পা সিদ্ধেশ্বরীর ওই স্থানে কীভাবে গেলেন তা রহস্যময়। এখনো নির্দিষ্ট করে কাউকে সন্দেহ করতে না পারলেও বন্ধুদের মাধ্যমে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করছে পরিবার। রুম্পার চাচা বলেন, ‘টিউশনি শেষ করে বাসায় ফিরে টাকা-পয়সা, মোবাইল রেখেই বের হয় রুম্পা।পায়ের হিল খুলে স্লিপার পরেই বের হয়।

এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ড. সোহেল মাহমুদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘ধর্ষণের পর রুম্পাকে হত্যা করা হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘যে ইনজুরিগুলো পেয়েছি, সেগুলো দেখে মনে হচ্ছে উঁচু জায়গা থেকে পড়ে মারা গেছে। মৃত্যুর আগে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কি না নিশ্চিত হতে আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাবে।’


সর্বশেষ সংবাদ