দুর্গাসাগর দীঘিতে ডুবে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের লাশ উদ্ধার

  © ফাইল ফটো

বরিশালের দুর্গাসাগর দীঘিতে বাজি ধরে সাঁতার কাটতে গিয়ে নিখোঁজ আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটির টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র ওমর ফারুক হৃদয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দীর্ঘ আট ঘণ্টা তল্লাশির পর তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

বুধবার সকাল ১১টার দিকে দুর্গাসাগর দিঘিতে সাঁতার কাটতে নেমে নিখোঁজ হন হৃদয়। তিনি বরিশাল নগরীর কাউনিয়া হাউজিং এলাকার বাসিন্দা পুলিশ কর্মকর্তা মো. শাহ আলমের ছেলে।

বন্ধুদের সঙ্গে ২০০ টাকা বাজি ধরে বরিশালের বাবুগঞ্জের দুর্গাসাগর দিঘি পার হতে গিয়ে নিখোঁজ হন হৃদয়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এসে উদ্ধার অভিযান চালালেও তাকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হৃদয় তার বন্ধু ও এক বান্ধবীকে নিয়ে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে দুর্গাসাগর দিঘিতে বেড়াতে যান। সেখানে বন্ধুদের সাথে ২০০ টাকার বাজি ধরে সাঁতরে দিঘির মাঝখানের দ্বীপে যাওয়ার জন্য পানিতে নামেন।

প্যান্ট-শার্ট খুলে লুঙ্গি পরে দক্ষিণ পাড় থেকে দ্বীপে যাওয়ার সাঁতার কাটা শুরু করে। অর্ধেক পথ যাওয়ার পর কিছুক্ষণের মধ্যে পানিতে তলিয়ে যায়। এরপর আর তাকে দেখা যায়নি। তবে, ডুবে যাওয়ার আগে হৃদয় হাত উঁচিয়ে কিছু একটা বলার চেষ্টা করেন বলে জানান তারা।

দুর্গাসাগরে দায়িত্বরত জেলা প্রশাসনের কর্মচারী মো. অলি বলেন, সকাল ১১টার দিকে হৃদয়ের বন্ধু ও বান্ধবী এসে জানায়, তাদের সঙ্গে থাকা হৃদয় সাঁতরে দিঘির মাঝখানে উচু দ্বীপে যাচ্ছিল। এখন তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।

এ খবর পেয়ে অন্যান্য কর্মচারীরা নৌকা নিয়ে তল্লাশি শুরু করেন। কিন্তু তাকে খুঁজে না পেয়ে তারা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন।

জানতে চাইলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী মেট্রোপলিটন পুলিশের বিমানবন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আব্দুর রহমান মুকুল বলেন, ধারণা করা হচ্ছে হৃদয় দিঘির মাঝ বরাবর দ্বীপে পৌঁছার আগেই ডুবে যায়।


সর্বশেষ সংবাদ