ঘুমন্ত অবস্থায় ভাইয়ের কোলে ভাতিজার মৃত্যু হয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনে উদ্ধার তৎপরতা। ইনসেটে হতাহতদের স্বজনদের আহাজারি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনে উদ্ধার তৎপরতা। ইনসেটে হতাহতদের স্বজনদের আহাজারি  © সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দভাগে সোমবার দিবাগত রাত পৌণে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা ও সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। আহত হয়েছেন অসংখ্য

ট্রেনে থাকা যাত্রীদের বর্ণনায় দুর্ঘটনার ভয়াবহ তথ্য জানাচ্ছেন। নিহতদের মধ্যে হবিগঞ্জ সদরের গ্রাম বহুলার মজিবুর রহমানের ভাতিজা ইয়াসিনও (১২) রয়েছে। শোকে বিহবল মজিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা সবাই ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলাম। বুঝে উঠতে পারিনি কিছু। ভাইয়ের কোলে ঘুমন্ত অবস্থায় মারা যায় ভাতিজা।’

তিনি জানান, বড় ভাই ও ভাতিজার সঙ্গে উদয়ন এক্সপ্রেসে ছিলেন তিনি। ট্রেনটি স্টেশনে ঢোকার আগেই তূর্ণা নিশীথা ট্রেনটি ধাক্কা দেয়।

স্টেশন সংলগ্ন মন্দবাগ গ্রামের বাসিন্দা সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক মোস্তাক আহমেদ বলেন, “আমরা গভীর রাতে হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পাই। ঘর থেকে বের হয়ে দেখি কান্নার শব্দ। এখানে সেখানে ছিটকে পড়ে আছে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষের মরদেহ। তখন এলাকার সবাই বেরিয়ে আহতদের উদ্ধার শুরু করি।”

মোরসালিন মিয়া নামে অপর যাত্রী জানান, ‘উদয়ন এক্সপ্রেস মেইন লাইন থেকে লুপ লাইন ক্রস করছিলো। এ সময় তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস দ্রুত গতিতে ধাক্কা দেয়। তবে সামনের বগিতে থাকায় কোচটির তেমন কেউ হতাহত হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘পেছন দিকের ঝ, ঞ-সহ বগিগুলোর বেশ কয়েকজন নিহত ও গুরুতর আহত হন।আমরা সবাই ট্রেন থেকে নেমে আহতদের উদ্ধার করার চেষ্টা করি।’


সর্বশেষ সংবাদ