সোনাগাজীর আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত

বিদ্যালয়ে স্মার্টফোন নিতে পারবেন না শিক্ষার্থীরা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি  © সংগৃহীত

মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে স্মার্টফোন সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারবেন না মর্মে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটি। সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সভা সূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়টি দেখভাল করার জন্য জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রদান করে একটি কমিটি ঘটনা করা হয়েছে। পাশাপাশি মাদক ও নারী নির্যাতনের ব্যাপকতায় উদ্বেগ জানানো হয়েছে।

সোমবার (১১ নভেম্বর) সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষে অক্টোবর মাসের বিবরণ নিয়ে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অজিত দেবের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সাখাওয়াতুল হক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জোবেদা নাহার, সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈন উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নার্গিস আক্তার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নুরুল আমিন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আরএমও আরমান বিন আবদুল্লাহ। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ ছিলেন।

সভায় সরকারি -বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা তাঁদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যাসহ সচেতনতামূলক বক্তব্য তুলে ধরেন। এছাড়া বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ, সামাজিক অপরাধ প্রতিরোধ এবং দমনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, স্থানীয়ভাবে কোনো সালিসে গণধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিচার করা যাবে না। এমন ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানোর পাশাপাশি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে আইনি সহায়তা নেওয়া যাবে। পুলিশ বিভাগের দাবি, গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে সোনাগাজী মডেল থানায় বিভিন্ন অপরাধে ৪৮টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ১টি খুন, ১টি ধর্ষণ, ৫টি চুরি, একটি ডাকাতি, ১টি অস্ত্রআইন, ৯টি মাদকদ্রব্য ও অন্যান্য আইনে ৩টিসহ মোট ৪৮টি মামলা হয়েছে। যা বিগত কয়েক মাসের তুলনায় বেড়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।

সভায় মাদক ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের তথ্যউপাত্ত দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান করা হয়। সেই সাথে মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বাধ্যতামূলকভাবে স্কুলের সমাবেশে ও মসজিদগুলোতে খুতবার সময় এগুলোর নেতিবাচক দিক তুলে ধরে আলোচনার আহ্বান জানানো হয়। এছাড়াও মাদকের মামলায় দণ্ডিত আসামিরা যেন সহজে জামিন না পান, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে।

সভার সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানিয়ে ইউএনও অজিত দেব বলেন, সভায় আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের অপরাধ পর্যালোচনা করা হয়েছে। পর্যালোচনায় দেখা গেছে, অন্যান্য অপরাধের চেয়ে মাদক ও নারী নির্যাতনের ঘটনা সম্প্রতি কিছুটা বেড়েছে। এ সময় সভার এক সদস্য প্রস্তাব দেন, সাইবার অপরাধ রোধে অন্তত মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা যেন স্মার্টফোন সাথে নিয়ে বিদ্যালয়ে না আসে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। পরে ওই সিদ্ধান্তে অন্যরা একমত হন। এরপর বিষয়টি নজরদারিতে রাখতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রধান করে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

আরো পড়ুন: এসএসসি ফেল করে যেভাবে ক্রিকেটার হলেন নাঈম শেখ

 


সর্বশেষ সংবাদ