নুসরাত হত্যা: মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য নথি যাচ্ছে হাইকোর্টে

মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্সের (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) নথি আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টে পাঠানো হবে। গণমাধ্যমকে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) হাফেজ আহমেদ।

পিপি হাফেজ আহমেদ বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা মোতাবেক মৃত্যুদণ্ডের রায় অনুমোদনের জন্য মামলার নথি ডেথ রেফারেন্স আকারে হাইকোর্টে পাঠাতে হয়। সে জন্য ডেথ রেফারেন্সের নথি হাইকোর্টে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। আদালত যখন মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন, তখন হাইকোর্ট বিভাগের কাছে কার্যক্রম পেশ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। হাইকোর্ট বিভাগ অনুমোদন না করা পর্যন্ত দণ্ড কার্যকর করা হবে না। মঙ্গলবার নথি হাইকোর্টে পাঠানো হবে।

বাদীর আইনজীবী এম শাহজাহান সাজু বলেন, নুসরাত হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উচ্চ আদালতে শুনানির জন্য আইন মন্ত্রণালয় থেকে ইতিমধ্যে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

গত ২৪ অক্টোবর নুসরাত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মামুনুর রশিদ। রায়ে এই মামলার প্রধান আসামি মাদ্রাসার বরখাস্ত হওয়া অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাসহ ১৬ আসামির সবাইকে ফাঁসির রশিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেন আদালত। এ ছাড়া প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন সোনাগাজী মাদ্রাসার বহিষ্কৃত অধ্যক্ষ এস এম সিরাজ উদদৌলা, উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি মো. রুহুল আমিন, ছাত্র নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন ওরফে শামীম, পৌরসভার কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, সাইফুর রহমান মো. জোবায়ের, জাবেদ হোসেন ওরফে শাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, শিক্ষক হাফেজ আবদুল কাদের, প্রভাষক আবছার উদ্দিন, নুসরাতের সহপাঠী কামরুন নাহার মণি ও উম্মে সুলতানা পপি; আবদুর রহিম শরীফ, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন ওরফে মামুন, মো. শামীম ও মহি উদ্দিন ওরফে শাকিল।

রায় ও দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে সাত কার্যদিবসের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে আসামিরা আপিল করতে পারবেন বলে আদালত বলেন।

 


সর্বশেষ সংবাদ