৫১ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করলেন সেই পুলিশ কর্মকর্তা

কামরুল হাসান এবং ওই তরুণী
কামরুল হাসান এবং ওই তরুণী  © ফাইল ফটো

চট্টগ্রামে এপিবিএন এ কর্মরত এএসপি কামরুল হাসানকে এক তরুণীসহ রংপুর বনানী পাড়ায় একটি বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। গতকাল ৫১ লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে কাজির খাতায় রেজিস্ট্রি দেখানো হয় ২১ অক্টোবর।

সংশিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রংপুরের মিঠাপুকুরের বালারহাটের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে রেকাসানা পারভীন স্মৃতি ২০১৬ সালে কারমাইকেল কলেজে ইংরেজি বিভাগ থেকে মাস্টার্স পাস করেন। তার সঙ্গে প্রায় দুই বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম দলিরাম মাগুড়া গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে কামরুল হাসানের। তারা রংপুর নগরীর বিভিন্ন এলাকায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। গত ৩ মাস আগে বনানীপাড়ার একটি বাসা ভাড়া নেন।

এরই মধ্যে ৩৬তম বিসিএসে পুলিশ বাহিনীতে চাকরি পেয়ে সদ্য প্রশিক্ষণ শেষ করেন কামরুল। আগামী সপ্তাহে চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করার কথা তার। সম্প্রতি মেয়েটি বিয়ের জন্য চাপ দিলে এতে অস্বীকৃতি জানান কামরুল। একপর্যায়ে স্মৃতি মহিলা পরিষদে লিখিত অভিযোগ দেন।

এদিকে মঙ্গলবার কামরুল বনানীপাড়ার ওই বাসায় গেলে স্মৃতি মহিলা পরিষদের নেতৃবৃন্দকে তার আসার বিষয়টি অবগত করেন। পরে মহিলা পরিষদের নেতৃবৃন্দ বনানীপাড়া গিয়ে কামরুলকে দেখার পর পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে নগরীর কোতোয়ালি থানা পুলিশ সেখান থেকে দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এবিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ জানান, থানায় আটকের পর গভীর রাতে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যস্থ্যতায় উভয় পরিবারের সম্মতিক্রমে কাজী ডেকে থানার পাশে হোটেল তিলোত্তমায় তাদের বিয়ে দেয়া হয়।

রংপুর জেলা মহিলা পরিষদ সম্পাদিকা রোমানা জামান বলেন, মিঠাপুকুরের বালারহাটের তোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে রোকসানা পারভীন স্মৃতি লিখিত অভিযোগ করে আমাদের জানান, স্মৃতির সঙ্গে এক বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর ওই পুলিশ কর্মকর্তা স্মৃতির সঙ্গে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে।


সর্বশেষ সংবাদ