আবরার হত্যা: ১০ কোটির ক্ষতিপূরণের রিট শুনতে বিব্রত হাইকোর্ট

ছাত্রলীগের হাতে নির্মমভাবে নিহত বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যায় তার পরিবারকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানিতে অপরাগতা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। পরে রিটটি সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের (কজলিস্ট) কার্যতালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়।

মঙ্গলবার রিট আবেদন শুনানির জন্য উপস্থাপনের পর হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বিব্রতবোধ করে তালিকা থেকে বাদ দিয়ে আদেশ দেন।

আদালতে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী একেএম ফয়েজ। তবে শুনানির জন্য অন্য কোনো কোর্টে যাবেন বলে জানিয়েছেন এ আইনজীবী।

একেএম ফয়েজ জানান, রিটের বিষয়ে শুনানি করতে গেলে সংশ্লিষ্ট কোর্ট ডিলিট করে দিয়েছেন এবং অন্য কোর্টে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এখন আমরা অন্য কোর্টে যাব।

এর আগে সোমবার রিটটি শুনানির জন্য মঙ্গলবারের কার্যতালিকায় থাকবে বলে আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। তারই ধারাবাহিকতায় আজ রিটটি শুনানির জন্য যায়।

গত ১৩ অক্টোবর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে রিটটি করেন আইনজীবী শাহীন বাবুর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ।

৬ অক্টোবর শেরেবাংলা হলে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন বুয়েট ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী। আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন। তিনি থাকতেন বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলায় ১০১১ নম্বর কক্ষে। ঘটনার দিন তাঁকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় একই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে। ওই কক্ষে তাঁকে নির্যাতন করে বুয়েট ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। রাত ৩টার দিকে হল থেকেই তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পর থেকে শিক্ষার্থীরা আবরার হত্যার ঘটনায় খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি, বুয়েট ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করাসহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বুয়েট ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। বুয়েটের কোনো শিক্ষার্থী ছাত্ররাজনীতিতে জড়িত হলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণাও দেন তিনি। তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, কেবল আশ্বাস নয়, বাস্তবায়নও দেখতে চান তাঁরা।

আবরার হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ১৯ জনের মধ্যে চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।


সর্বশেষ সংবাদ