আবরার হত্যায় এবার জিয়নের স্বীকারোক্তি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০১৯, ০৫:৪৬ PM , আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৯, ০৫:৪৬ PM
বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের আসামিদের মধ্যে দ্বিতীয় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন। শুক্রবার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. সারাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আবরার হত্যার ঘটনায় রিমান্ডে থাকা আসামি মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের উপ-ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম আসামি হিসেবে স্বীকারোক্তি দেন ইফতি মোশাররফ সকাল। যিনি ছাত্রলীগের উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ছিলেন।
এদিকে শুক্রবার এ মামলায় গ্রেফতার আরেক আসামি মিজানুর রহমান মিজানকেও আদালতে হাজির করা হয়। তবে তার বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন না থাকায় তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। গত ৮ অক্টোবর একই আদালত আসামি সকাল, জিয়নসহ এ মামলায় বুয়েট ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মীর পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ইতিমধ্যে পুলিশ ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছেন। ১৩ জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
গ্রেফতার আসামিরা হলেন- বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান ওরফে রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন, অনীক সরকার, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, ইফতি মোশারেফ, বুয়েট ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান ওরফে রবিন, গ্রন্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ ওরফে মুন্না, ছাত্রলীগের সদস্য মুনতাসির আল জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম ওরফে তানভীর, মোহাজিদুর রহমানকে, শামসুল আরেফিন, মনিরুজ্জামান ও আকাশ হোসেন, মিজানুর রহমান (আবরারের রুমমেট), ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহা এবং হোসেন মোহাম্মদ তোহা।
প্রসঙ্গত ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় খুন হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে। ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে শনিবার বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ফাহাদ। এর জের ধরে রোববার রাতে শেরেবাংলা হলের নিজের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পিটুনির সময় নিহত আবরারকে ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালায় খুনিরা।