সাংবাদিককে মারধর, ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা পুলিশের!

  © সংগৃহীত

বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ করে বাসায় ফেরার পথে এক সাংবাদিকের ভাইকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশের অভিযুক্ত এসআইকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মধ্যরাতে ঢাকার আজিমপুরের বাসার ফিরছিলেন ভুক্তভোগী দুইজন। এছাড়া ঘটনাস্থলে সাংবাদিককে মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদক কাজী মোবারক হোসেন জানান, শনিবার রাত ১টার দিকে লালবাগ থানার এসআই কালামসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য তার ভাই জাহাঙ্গীর আলমকে মারধর করেন। এমনকি ‘ইয়াবা পাওয়ার’ কথা বলে থানায় ধরে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন তারা।

শনিবার সন্ধ্যার পর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন কনভেনশন হলে তার বিবাহোত্তর সংবর্ধনা ছিল। বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষে নরসিংদীর গ্রামের বাড়ি থেকে আসা তার বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) ও ভাতিজা রিয়াদ (২১) সিএনজি অটোরিকশায় চড়ে আজিমপুরের বটতলা এলাকায় বাসার সামনে এসে নামেন।

তখন লালবাগ থানার এসআই কালামের নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশ এসে তাদের কাছে জানতে চায়, এত রাতে বাইরে কেন? তারা বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা জানালেও তাদের পুলিশের গাড়িতে উঠতে বলে।তারা বলে, তাদের কাছে ইয়াবা আছে। একপর্যায়ে মারধর শুরু করে।

তখন আমাদের গাড়ি এসে পৌঁছালে আমি নেমে জানতে চাই, কেন মারা হচ্ছে? এর মধ্যে লালবাগ থানার পরিদর্শক আসলাম ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি এসেই এনটিভি নিউজের সাংবাদিক ফখরুল শাহীনকে থাপ্পড় মারেন। এক পর্যায়ে আমার কলার ধরে টেনে গাড়িতে তুলতে যান। তখন অনুষ্ঠানের অতিথি ১০-১২ জন সাংবাদিক রক্ষা করেন।

খবর শুনে আরও কয়েকজন সাংবাদিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল ছাত্র ঘটনাস্থলে চলে আসেন। তারা পরিদর্শক আসলামসহ ২০-২৫ জন পুলিশ সদস্যকে ঘিরে বিক্ষোভ করেন। এ ঘটনায় দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেন তারা।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে লালবাগ থানার পরিদর্শক আসলাম বলেন, ‘পুলিশ রাতে যে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। সেভাবেই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু তারা ভিন্ন দিকে নিয়ে বলছে, ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে চেয়েছে।’ এই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও তাদের উপর চড়াও হওয়ার অভিযোগ করেছেন মোবারক।

ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ জোনের উপ কমিশনার মুনতাসিরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় পুলিশের এসআই কালামকে প্রত্যাহারের আদেশ দেওয়া হয়েছে।