ভারতে গণধর্ষণের স্বীকার বাংলাদেশি তরুণী

  © সংগৃহীত

ভারতের বনগাঁওয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক বাংলাদেশি তরুণী। এ ঘটনায় ওই তরুণী থানায় অভিযোগ করার পর তাকে আটক করা হয়েছে। অন্যদিকে এ ঘটনায় এখনও অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেফতার করনি পুলিশ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজ জানিয়েছে, মাসখানেক আগে বাংলাদেশ থেকে কাজের সন্ধানে অবৈধভাবে বনগাঁ গিয়েছিলেন ওই তরুণী। সেখান থেকে তিনি চলে যান গুজরাটের সুরাটে। সেখানে কাজের পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার দেশে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সেই উদ্দেশ্যে আবারও বনগাঁয় ফেরেন তিনি।

জানা যায়, কোনো বৈধ কাগজপত্র না থাকায় সীমান্ত পার করানোর জন্য বনগাঁর নরহরিপুরের ২ দালালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। সীমান্ত পার করে দেয়ার জন্য চুক্তিও হয় তাদের মধ্যে। দিন দুয়েক থেকে তাকে চোরাপথে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়ার কথা। এই সময়টা তিনি ছিলেন ওই দালালদের আশ্রয়েই। সেই সুযোগে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন ওই দুই দালাল।

নির্যাতিতা তরুণীর জানায়, মঙ্গলবার রাতে কোনোক্রমে অভিযুক্তদের গোপন ডেরা থেকে পালিয়ে আসেন তিনি। এরপর পেট্রোপোল সীমান্তে টহলরত পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। সমস্ত ঘটনার বিবরণ পুলিশের কাছে তুলে ধরেন। অভিযুক্তদের নামে ধর্ষণের মামলা রুজু করেন। ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, চোরাপথে ভারতে প্রবেশের অপরাধে ওই তরুণীর বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের হয়েছে।

ওই ঘটনা পেট্রাপোল থানায় গিয়ে জানান তরুণী। এরপরই ওই তরুণীকে আটক করে তদন্ত শুরু করেছে পেট্রাপোল থানার পুলিশ। অভিযুক্ত দুই দালালকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, দুই অভিযুক্তই বাংলাদেশে চোরাচালান কারবারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।