গৃহবধূকে পরপর তিনবার ধর্ষণ করে ওসি!

ওসি ওসমান গনি পাঠান
ওসি ওসমান গনি পাঠান  © ফাইল ফটো

খুলনার জিআরপি (রেলওয়ে) থানায় আটকে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে জিআরপি থানার ওসি ওসমান গনি পাঠানসহ পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ।

সোমবার দুপুরে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মো. মহিদুজ্জামানের আদালতে এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি। মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক মো. মহিদুজ্জামান।

মামলার বিবরণে ওই নারী বলেছেন, গত ২ আগস্ট যশোর থেকে ট্রেনে খুলনায় আসার পথে রেলওয়ে পুলিশের সদস্যরা ওই গৃহবধূকে মোবাইল চুরির অভিযোগে আটক করে। পরে পুলিশ দাবি করে, বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী কমিউটার ট্রেন থেকে ওই নারীকে ফেনসিডিলসহ আটক করা হয়।

ওই দিন রাতে থানার ওসি ওসমান গণি পাঠানসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য তাকে ধর্ষণ করেন। পরদিন পাঁচ বোতল ফেনসিডিলসহ মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। ৪ আগস্ট আদালতে পাঁচ পুলিশের গণধর্ষণের বর্ণনা দেন ওই গৃহবধূ। এরপর আদালতের নির্দেশে ৫ আগস্ট তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।

২৮ আগস্ট গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সাইফুজ্জামান। পুলিশের করা মাদক মামলায় বর্তমানে গৃহবধূ জামিন রয়েছেন।

এদিকে গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ তদন্ত করছে পুলিশের দুটি কমিটি। এরই মধ্যে অভিযুক্ত ওসি ওসমান গণি পাঠানসহ দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পাকশী রেলওয়ে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।

ওসির নেতৃত্বে থানায় গণধর্ষণের বর্ণনা দিয়ে মামলার এজাহারে গৃহবধূ উল্লেখ করেন, জিআরপি থানায় আটকে গৃহবধূকে পরপর তিনবার ধর্ষণ করেছেন জিআরপি থানার ওসি ওসমান গণি পাঠান। ধর্ষণের সময় জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবহার করেন ওসি। ওসির পর গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন মুখে দাগওয়ালা ডিউটি অফিসার (এসআই)। এরপর বাকি তিন পুলিশ সদস্য গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন। ওসির মতো তারা সবাই ধর্ষণের সময় জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ব্যবহার করেছেন।


সর্বশেষ সংবাদ