অভিশপ্ত পরকীয়া সম্পর্ক এবং শাস্তি

পরকীয়া নামের অসামাজিক বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অশুভ থাবায় বিপর্যয়ের মূখে সংসার ও পরিবার প্রথা। অনেকেই সমাজ, লোকচক্ষু ও সন্তানের ভবিষ্যত চিন্তা করে নিরবে সহ্য করে যাচ্ছে স্বামী -স্ত্রীর এই নিষিদ্ধ প্রণয়লীলা। আবার অনেকেই পরকীয়ার নরক যন্ত্রণার অনল সহ্য করতে না পেরে ঘটাচ্ছেন বিবাহ বিচ্ছেদ। কেউবা আবার বেছে নিচ্ছে অত্মহননের মতো অভিশপ্ত পথ।

বিবাহিত কোন নারী বা পুরুষ স্বীয় স্বামী বা স্ত্রী ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তির সঙ্গে কোনও ধরণের সর্ম্পক কিংবা বিবাহবহির্ভূত প্রেম, যৌন সম্পর্ককে লিপ্ত হওয়াকে পরকীয়া বলে। বর্তমান ডিজিটাল যুগে ফোনালাপ ও ইন্টারনেট সুবিধা সহজলভ্য হবার কারণে একজন পুরুষ কিংবা নারী সহজে পরকীয়ার মতো গর্হিত কাজে নিজেদেরকে জড়িয়ে ফেলছে। ইসলাম কীভাবে এমন বিকৃত অরুচিকর কাজকে সমর্থন করতে পারে?এ বিকৃত কর্মের অসারতা বিবেকও ধিক্কার দেয়। নিজ স্বামী বা স্ত্রী অন্য কারো সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করবে,ডেটিং, আড্ডা দেবে, সারাদিন ফোনে পরিবারের সবাইকে ফাঁকি দিয়ে ফিসফিস করে আলাপ করবে, সুযোগ পেলেই অভিসারী হবে, এ অবস্থা সুস্থ বিবেকবান কোনো মানুষ মেনে নিতে পারে না। এ কর্মের কারণে সমাজ যেমন শৃঙ্খলতা হারায়, তেমনি পারিবারিক বন্ধনেও ধরে ফাটল। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে সামাজিক সকল রীতিনীতি।পরকীয়ার দু'একটি কেস স্টাডি এমন-

কেস স্টাডি-১: বর্তমান মোবাইলের যুগে বাড়ছে অপকর্ম, অপরাধ। নারী পুরুষে বাড়ছে পরকীয়া সম্পর্ক। মিসেস শিমু একজন বিবাহিত নারী। তার স্বামী একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করে। শিমু একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। স্বামী তাকে খুব একটা বেশি সময় দিতে পারে। সাত বছরের নিঃসন্তান শিমু ফেসবুক ইমুতে বিভিন্ন ছেলেদের সঙ্গে কথা বলে ও চ্যাট করে সময় পার করে। এরমধ্যে ফেসবুকে রোহান নামের একটি ছেলের সঙ্গে তার দেড় বছরের পরিচয় ও রিলেশন হয়। রোহান শিমুকে প্রচন্ড ভালোবাসে কিন্তু শিমুর রোহানের প্রতি যে মোহ ছিল তা এক সময় কেটে যায়। শিমু রোহানের সঙ্গে মিসবিহেভ করে কেটে পড়ে।

এরপর শিমু আরো বেশ কিছু ছেলের সঙ্গে রিলেশন করে। তার স্বামী সবকিছু জেনেশুনেও নিশ্চুপ। বেশি সহজ সরল হলে যা হয়। শিমু এরপর তার সাবেক ক্লাসমেট দীপনের সঙ্গে রিলেশনে জড়িয়ে পড়ে। দুজনে ডেটিং আড্ডা সবকিছু করে। সমান্তরালে শিমুর চাকরি স্বামী সংসারও চলে। এরমধ্যে শিমু তার স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে দীপনের সঙ্গে সংসার পাতে। এটা একটি পরকীয়ার সামাজিক চিত্র নয় কি?
কেস স্টাডি-২: দীপন একজন অবিবাহিত পুরুষ। বিভিন্ন বিবাহিত নারীর সঙ্গে ফোনালাপ করে এবং কখনো কখনো তাদের সঙ্গে শারীরিক রিলেশন করে এটাও একটি পরকীয়া।

এরকম হাজারো দৃশ্য সমাজে রয়েছে। নারী - পুরুষ সবাইকে চরিত্র সংরক্ষণের নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। আল্লাহ পাক বলেন, ‘তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না। এটা অশ্লীল কাজ এবং নিকৃষ্ট আচরণ।’ (সুরা বনি ইসরাইল-৩২)

হযরত সাহল ইবনে সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মুখ ও লজ্জাস্থানের হেফাজতের জামিনদার হবে আমি তার বেহেশতের জামিনদার হবো।’ (বুখারি)

হযরত ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি বলেছিলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বড় পাপ কি? তিনি বললেন, আল্লাহর সমকক্ষ কাউকে নির্ধারণ করা। আমি বললাম, এটা নিশ্চয়ই জঘন্যতম গুনাহ। তারপর কি ? তিনি বললেন; তোমার সন্তান তোমার সাথে আহারে বিহারে অংশ নিবে এ আশংকায় সন্তানকে হত্যা করা। আমি বললাম, এরপর কি? তিনি বললেন, তোমার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে অনৈতিক( পরকীয়া) সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া। (বুখারি ও মুসলিম)

বনি ইসরাইলের এলাকায় এক পাহাড় ছিল, যে পাহাড়টিকে তারা খুবই মর্যাদার মনে করত। এবং সেটিকে খুব সম্মান করত। কোন কথার মীমাংসা করার সময়, যদি কসম উঠাতে হত তখন তারা সে পাহাড়ের উপর উঠে কসম খেত আর অন্যরা তখন সে কথাটিকে সত্য হিসেবে মেনে নিতো। সে শহরে এক সুন্দরী নারী ছিল। তার সঙ্গে এক পুরুষের অবৈধ সম্পর্ক ছিল।নারীটি তাকে তার ঘরে ডাকতে লাগল। তখন নারীকে তার স্বামীর সন্দেহ হতে লাগল। একদিন স্বামী বলল আমার সন্দেহ হচ্ছে আমার অনুপস্থিতিতে কেউ তোমার কাছে আসে। তার স্ত্রী নারীটি তা অস্বীকার করল। তখন স্বামী বলল যদি তুমি সত্যবাদী হও তাহলে পাহাড়ের উপর উঠে কসম কর যে তোমার সাথে কারো পরকীয়ার সম্পর্ক নেই।

সেই নারী বলল ঠিক আছে আমি আগামীকাল পাহাড়ের উপর চড়ে কসম খেতে প্রস্তুত।সেই নারী গোপনে তার সে প্রেমিককে বলল যে আগামীকাল তুমি পাহাড়ের নিচে একটি গাধা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে। আমি আর আমার স্বামী পাহাড়ের উপর উঠার জন্য সেখানে আসব, আর আমি আমার স্বামীকে বলবো, পাহাড়ের উপর উঠতে আমার ভীষণ কষ্ট হবে, সে ছলনায় তোমার গাধাটি ভাড়া নিয়ে আমি সে পাহাড়ের উপর উঠব। তুমি গাধা নিয়ে সেখানে উপস্থিত থাকবে। আর গাধার উপর আমাকে আরোহণ করাবে, আমার সঙ্গে তুমিও পাহাড়ে উঠবে। যখন পরের দিন স্বামী -স্ত্রী পাহাড়ে উঠার জন্য ঘর থেকে বের হল। চলতে চলতে সে পাহাড়ের নিকট পৌঁছিল। সেখানে তার প্রেমিক গাধাওয়ালার বেশে আগে থেকেই গাধা নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। মহিলাটি তার স্বামীকে বলল আমি চলতে চলতে ক্লান্ত হয়ে গেছি। আমাকে এ গাধাটি ভাড়া করে দাও। স্বামী গাধাওয়ালার সাথে ভাড়া ঠিক করে নিল। আর স্ত্রীকে গাধার উপর বসিয়ে তিন জন পাহাড়ে উঠতে লাগল।

যখন তারা সে স্থানে পৌঁছল যেখানে মানুষ কসম খেত, সেখানে সে মিথ্যাবাদী, ছলনাময়ী নারী গাধার উপর থেকে পড়ে গেল। আর সে ছলনায় নিজের কাপড় এমন ভাবে উপরে তুলে ফেলল যেন তার সতর খুলে যায়। আর এমন ভাবে পড়ল যে স্বামী সত্যি সত্যি মনে করল যে তার স্ত্রী গাধা থেকে পড়ে গেছে।আর এতে অসতর্ক বশত সে বিবস্ত্র হয়ে গেছে। এরপর স্ত্রী দ্রুত উঠে দাঁড়িয়ে গেল আর পাহাড়ের কসম খাওয়ার জায়গায় দাঁড়িয়ে বলল আমি কসম করে বলছি আমার সতর তুমি ছাড়া এবং এ গাধা ওয়ালা ছাড়া আর কেহ দেখেনি।

কসম খাওয়ার পর স্বামী স্ত্রীর উপর বিশ্বাস করে নিল। কেননা স্বামী মনে করল এ গাধাওয়ালা এইমাত্র স্ত্রীর যে সতর খুলে গিয়েছিল তখনই দেখেছে। এ ঘটনায় বুঝা যায় নারী ছলনা দ্বারা অনেক সময় স্বামীকে নির্বোধ বানিয়ে ফেলতে পারে। কিন্তু এসব নারীদের এটা জানা নাই যে আজ কোন প্রতারণার দ্বারা নিজের গুনাহকে সাময়িক গোপন করে নিল, যাতে কারো সন্দেহও সৃষ্টি হল না।কিন্তু কাল কেয়ামতের দিন এ কথা গোপন থাকবে না। কারণ আল্লাহ তায়ালার সবকিছুই জানেন এবং দেখেন।আল্লাহর কাছে কোন কাজ গোপন করার কিছু নাই। দুনিয়ায় মানুষের নিকট গোপন থাকতে পারে, কিন্তু আল্লাহ তায়ালার কাছে তা গোপন থাকতে পারে না।

কুরআনের সূরা নূরের ২-৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে যে, ইসলামী আইনে বিয়ে এবং উপপত্নীত্ব ব্যতীত অন্যান্য যৌন সম্পর্কসমূহ জিনা (ব্যভিচার) হিসেবে নিষিদ্ধ। উক্ত আয়াতসমূহে আরও বলা হয়েছে, অবিবাহিত ব্যভিচারী পুরুষ বা নারীকে একশতটি বেত্রাঘাত প্রদান করতে হবে এবং উক্ত ব্যভিচারী নারী বা পুরুষ অপর ব্যভিচারী পুরুষ বা নারীকেই শুধুমাত্র বিয়ে করতে পারবে, পাশাপাশি বিবাহিত ব্যভিচারী পুরুষ বা নারীকে (পরকীয়া) পাথর নিক্ষেপ করে মৃত্যুদন্ড দিতে হবে।

হাদিস শরিফে ব্যভিচারের ভয়ানক শাস্তির কথা বর্ণিত হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘হে মুসলমানগণ! তোমরা ব্যভিচার পরিত্যাগ কর। কেননা এর ছয়টি শাস্তি রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি দুনিয়াতে ও তিনটি আখেরাতে প্রকাশ পাবে।

যে তিনটি শাস্তি দুনিয়াতে হয় তা হচ্ছে, তার চেহারার ঔজ্জ্বল্য বিনষ্ট হয়ে যাবে, তার আয়ুষ্কাল সংকীর্ণ হয়ে যাবে এবং তার দারিদ্রতা চিরস্থায়ী হবে। আর যে তিনটি শাস্তি আখেরাতে প্রকাশ পাবে তা হচ্ছে, সে আল্লাহর অসন্তোষ, কঠিন হিসাব ও জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করবে।’ (বায়হাকি)

হাদীসে বর্ণিত রয়েছে, যে ব্যক্তি কোন বিবাহিত মহিলার সাথে ব্যভিচার করবে তাদের উভয়ের উপর মুসলিম উম্মাহর অর্ধেক আযাব নিপতিত হবে। কিয়ামতের দিন আল্লাহ এ মহিলার স্বামীকে তার সৎ কর্মের বিচারের দায়িত্ব অর্পণ করে জিজ্ঞেস করবেন, তার স্ত্রী যে অপকর্ম করেছে তা সে জানত কিনা ? যদি সে জেনে থাকে তাহলে এ কুকর্ম প্রতিহত করতে কোন পদক্ষেপ না নিয়ে থাকে তাহলে আল্লাহ তার উপর বেহেস্ত হারাম করে দিবেন। কেননা, আল্লাহ বেহেস্তের দরজার উপর এ মর্মে লিখে রেখেছেন, দায়ুসের জন্য বেহেস্ত হারাম। দায়ুস হচ্ছে সে ব্যক্তি, যার পরিবারে অনৈতিক কার্যকলাপ চলতে থাকা সত্ত্বেও সে তা জেনে নীরবতা পালন করে এবং একে প্রতিহত করার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে না।আসমানী কিতাব

যবুরে বর্ণিত আছে, “ব্যভিচারী নারী-পুরুষদের রশি দ্বারা বেঁধে জাহান্নামের আগুনে ঝুলানো হবে এবং লোহার ডান্ডা দিয়ে তাদের জননেন্দ্রিয়ে আঘাত করা হবে। আঘাতের যন্ত্রণায় যখন চিৎকার করবে, তখন জাহান্নামের ফেরেশতারা বলবে; পৃথিবীতে যখন তোমরা আনন্দ ফুর্তি করতে, হাসতে এবং আল্লাহর কথা স্মরণ করতে না এবং তাকে লজ্জা পেতে না, তখন এ চিৎকার কোথায় ছিল”?

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,ইবলীস তার বাহিনীকে পৃথিবীর চারদিকে ছড়িয়ে দেবার সময় বলে, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কোন মুসলমানকে সবচেয়ে বেশি বিভ্রান্ত করতে পারবে, আমি তার মাথায় মুকুট পরিয়ে তাকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করব। দিন শেষে এক একজন করে এসে ইবলীসে কাছে নিজের সাফল্যের বর্ণনা দিতে থাকবে। কেউ বলে; আমি অমুককে কুপ্ররোচনা দিয়ে তার স্ত্রীকে তালাক দিতে প্রেরণা যুগিয়েছি এবং সে তালাক দিয়েছে। ইবলীস বলে, “তুমি উল্লেখযোগ্য তেমন কিছুই করোনি। সে আর এক মহিলাকে বিয়ে করবে”। এরপর অন্যজন এসে বলে, আমি অমুককে ক্রমাগত কুপ্ররোচনা দিয়ে তার ভাইয়ের সাথে তার শত্রুতা সৃষ্টি করে দিয়েছি। ইবলীস বলে, ‘তুমিও তেমন কিছু করোনি। তারা অচিরেই মীমাংসা করে নেবে’। এরপর অপর একজন এসে বলে, আমি অমুককে এক নাগাড়ে ক্রমাগত প্ররোচনা দিতে দিতে ব্যভিচারে লিপ্ত করেছি। একথা শুনে ইবলীস তাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলবে,তুমি একটা কাজের মত উত্তম কাজ করেছ। এরপর তাকে ডেকে নিয়ে তার মাথায় মুকুট পরিয়ে দেবে।

ইসলামী শরীয়তে বিবাহিত ব্যাভিচারের শরয়ী শাস্তি হল, পাথর নিক্ষেপে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা। আর যদি দু’জনই বিবাহিত হয়, তাহলে দুজনেরই শাস্তি হল, পাথর নিক্ষেপে মৃত্যুদন্ড। যাতে সে তার কুকর্মের উপযুক্ত ফলাফল ভোগ করতে পারে।মনে রাখতে হবে, এ শাস্তি কেবল ইসলামী রাষ্ট্রেই দেওয়া যাবে এবং সে দেশের শরীয়া সরকার ইসলামী আইন অনুসারে সেটা প্রয়োগ করবে।

পরকীয়া সম্পর্কের কারণে দীর্ঘ দাম্পত্য জীবন,ফুটফুটে সন্তান, সুন্দর সংসার, এক সময়ের মধুর সম্পর্কের স্মৃতি সব দূরে ঠেলে ঘটছে বিবাহ বিচ্ছেদের মতো ঘটনা । শুধু ঢাকা সিটি করপোরেশন যে পরিমাণ বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন জমা পড়েছে তা সামাজিক বন্ধনের বিচ্ছিন্নতাকে চরমভাবে নাড়া দিয়েছে। পরিসংখ্যান মতে,২০১৯ সালের বিগত ৬ মাসে অর্থাৎ ১৮০ দিনে ৪ হাজার ৫৫৭টি তালাকের আবেদন হলে একদিনে আবেদন হয়েছে ২৬টি তালাকের। অর্থাৎ প্রতি ৫৫ মিনিটে একটি সংসার ভাঙার আবেদন জমা পড়েছে নগর ভবনে।স্বামীর পরকীয়া, মাদকাসক্ত এসব গুরুতর কারণে যেমন তালাক হয়, আবার স্ত্রীর নানা দোষ দেখিয়েও স্বামীরা তালাকের আবেদন করে। ২০১৮ সালে একটি জরিপ হয় যেখানে বিগত ছয় বছরের একটি জরিপে দেখা যায়, প্রতি ১ ঘণ্টায় একটি ঘর ভাঙার আবেদন জমা পড়েছে ঢাকার দুই নগর ভবনে। এ হিসেবে শেষ ছয় বছরে তালাকে আবেদনের মোট সংখ্যা অর্ধলাখেরও বেশি।পরকীয়ার মতো

এ বিপর্যয় ঠেকাতে পারে একমাত্র ইসলামের পর্দার বিধান। এর বিকল্প সকল ব্যবস্থা বা প্রেসক্রিপশন হবে ভন্ডুল। পর্দা মূলত নারীর মান সম্মান আর ইজ্জত আবরুর রক্ষা প্রাচীর । নারীর অমূল্য সম্পদ রক্ষায় পর্দার অপরিহার্যতাকে অনিবার্য কর্তব্য বলে ঘোষণা করেছে ইসলাম। যে পর্দা বিধান নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশা রোধ করে পরকীয়ার মতো অভিশপ্ত সম্পর্ক প্রতিহত করতে পারে।

লেখক: শিক্ষক ও গবেষক


সর্বশেষ সংবাদ