অস্ত্রসহ যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ আটক

  © সংগৃহীত

রাজধানীর গুলশান ২ নম্বরে নিজ বাসা থেকে আটক হয়েছেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। তিনি মতিঝিলের ফকিরাপুল এলাকার ‘ইয়াং ম্যান্স ক্লাবে’র অবৈধ ক্যাসিনোর মালিক।

বুধবার সন্ধ্যায় গুলশান-২ এর ৪৯ নম্বর রোডের ৪ নম্বর বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার মালিকানাধীন ‘ইয়াং ম্যান্স ক্লাবে’র অবৈধ ক্যাসিনোতে বিকেল ৫টা থেকে অভিযান চালায় র‌্যাব। এসময় ওই ক্যাসিনো থেকে ১৪২ জনকে আটক ও বিপুল পরিমাণ জুয়া খেলার সরঞ্জামাদী ও টাকা উদ্ধার করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গেল শনিবার আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় যুবলীগ নেতাদের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশের পর আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনটির প্রভাবশালী নেতা খালেদকে ধরতে অভিযান চালাল র‌্যাব।

বৈঠকে উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতাদের ভাষ্য অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী যুবলীগের কয়েকজন নেতাকে নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা ‘শোভন-রাব্বানীর চেয়েও খারাপ’ বলে মন্তব্য করেন।

সেসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুবলীগের ঢাকা মহানগরের একজন নেতা চাঁদাবাজি করছে। আরেকজন এখন দিনের বেলায় প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে চলেন। এসব বন্ধ করতে হবে। যারা অস্ত্রবাজি করেন, যারা ক্যাডার পোষেন, তারা সাবধান হয়ে যান, এসব বন্ধ করুন। তা না হলে, যেভাবে জঙ্গি দমন করা হয়েছে, একইভাবে তাদেরকেও দমন করা হবে।

এছাড়াও খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। মতিঝিল-ফকিরাপুল ক্লাবপাড়ায় ক্যাসিনো থেকে শুরু করে কমপক্ষে সাতটি সরকারি ভবনে ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ ও সরকারি জমি দখলের মতো নানা অভিযোগ এ নেতার বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলাও।


সর্বশেষ সংবাদ