বাসায় ডেকে নিয়ে কলেজ ছাত্রকে হত্যা, বিচার দাবি

শাহরিয়ার ইসলাম শাকিল
শাহরিয়ার ইসলাম শাকিল  © টিডিসি ফটো

ময়মনসিংহ মহাবিদ্যালয় কলেজের মেধাবী ছাত্র শাহরিয়ার ইসলাম শাকিলকে বাসায় ডেকে নিয়ে হত্যার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচার ও বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। ঢাকাস্থ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন থেকে শাকিল হত্যার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নিহত শাকিলের পরিবার।

নিহত শাহরিয়ার ইসলাম শাকিল ময়মনসিংহ মহাবিদ্যালয় কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। শাকিল ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চরপাড়া গ্রামের মো. নজরুল ইসলামের ছেলে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ জুন ময়মনসিংহ মহাবিদ্যালয় থেকে ড্রেস পরিহিত অবস্থায় বাসায় ফেরার পথে কয়েকজন যুবক রাস্তা থেকে ডেকে নিয়ে হাদিকুল আলম হাদির বাসায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে শাকিলকে আঘাত করে। এরপর তাকে মেডিকেল নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে রেফার্ড করা হয়। সেখানে গত ২৬ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শাকিল।

মাদক ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় এবং সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজিতে বাধা দেওয়ায় কলেজ থেকে আসার পথে পরিকল্পিতভাবে তাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে এ আঘাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।

মানববন্ধনে নিহতের বড় ভাই রিয়াজুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ ঘটনায় আমরা আদালতে মামলা করেছি। মামলার প্রধান আসামি তানভীর রহমান রিমন গ্রেফতার হলেও বাকি আসামিরা বাহিরে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। রিমন আদালতের মাধ্যমে তার জবানবন্দিতে হত্যার কথা এবং হত্যায় সংশ্লিষ্ট বাকি আসামিদের কথা স্বীকার করেছে। বাকি আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় তারা পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাহিরে থেকে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন বড় ভাই রিয়াজ।

নিহতের বাবা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলেকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে মাদক ব্যবসায়ী রিমন-বাঁধন ও তারা সহযোগীরা মিলে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে জখম করে। সন্ত্রাসীরা আমার ছেলেকে গুরুতর জখম করায় আর বাচাঁনো গেলো তাকে। শাকিল জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে গত ২৬ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

প্রেসক্লাবে মানববন্ধন

তিনি বলেন, প্রধান আসামী গ্রেফতার হলেও হত্যার দীর্ঘ দুই মাসে মামলার অভিযুক্ত অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ প্রশাসন কোনো তৎপরতা দেখাচ্ছে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার আকুল আবেদন, আমার ছেলে হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও বাকি আসামিদের অবিলম্বে গ্রেফতার করার জন্য আপনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল করিম জানিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ব্যাপারে আমরা কাজ করছি। তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।