বিয়ের প্রলোভনে সহপাঠীকে ধর্ষণ করলো ছাত্রলীগ সভাপতি

মনপুরা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. রাকিব হাসান ওরফে রনি
মনপুরা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. রাকিব হাসান ওরফে রনি  © সংগৃহীত

ভোলার মনপুরা উপজেলায় কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সহপাঠিকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভুগী ছাত্রী বিচারের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগপত্র জমার দেয়ার পর শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি মামলা হয়েছে।

এঘটনা প্রকাশের পর থেকে মনপুরা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. রাকিব হাসান ওরফে রনি পলাতক।

এর আগে কলজে ছাত্রী লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, ছাত্রলীগ নেতা মো. রাকিব হাসান কলেজ যাওয়া-আসার পথে প্রেম নিবেদন করে আসছিল। সে প্রথমে পাত্তা দেয়নি। পরে বিয়ে করবে আশ্বাস দিলে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি হয়। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ফোনালাপ হয়। গত ৪ মাস আগে পহেলা বৈশাখে রাকিব ওই ছাত্রীকে মনপুরা হাসপাতালের ছাদে চিলেকোঠায় ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে বিভিন্ন স্থানে এবং রাকিবের নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে ফের ধর্ষণ করে।

চার মাস পর ওই ছাত্রী বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। বাধ্য হয়ে এ ঘটনা রাকিবের পরিবারকে জানায়। এতে রাকিব বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেয় ও ছাত্রীকে কয়েকবার মারধর করে। পরে বিচারের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করেন।

ছাত্রী বলেন, তারা চার বোন। ভাই নেই। তাদের বাবা দিনমজুর। সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলে বাবা-মা আরও সমস্যায় পড়তো। আর মৃত্যু কোনো সমাধানের পথ না। তাই বিচারের দাবিতে আইনের দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তু আইনের মানুষগুলো তাকে সহায়তা করতে অলসতা দেখাচ্ছে। দিনের দিন থানার বারান্দায় বসে থেকেও মামলা করতে পারেনি। ডিসি-এসপি ও ইউএনওকে জানিয়েছি।

এ ব্যাপারে রনির সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।

মনপুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বসির আহমেদ বলেন, তিনি ছাত্রীর অভিযোগপত্র জমা নিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠিয়েছেন। তিনি যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।

মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফোরকান আলি বলেন, মনপুরা সরকারি কলেজের এক ছাত্রীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ওই কলেজছাত্রীকে শনিবার ভোলা সদরে পাঠানো হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ