থানায় ধর্ষণের শিকার সেই নারীর জামিন হয়নি

  © সংগৃহীত

থানায় আটকের পর গণধর্ষণের অভিযোগকারী সেই নারীর জামিন হয়নি। গতকাল পুলিশের দেওয়া মাদক মামলায় জামিন আবেদন করলে বিচারক তা নামঞ্জুর করেন। অন্যদিকে রেলওয়ে থানায় পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের হওয়া আলাদা মামলার বাদী ওই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়নি আদালত। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কুষ্টিয়া সার্কেলের এএসপি ফিরোজ আহমেদ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেছিলেন।

জানা যায়, গত ২ আগস্ট রাতে ওই নারীকে মোবাইল চুরির অভিযোগে আটকের পর রেলওয়ে থানা অভ্যন্তরে ওসিসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য গণধর্ষণ ও মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে ৩ আগস্ট তাকে পাঁচ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক দেখিয়ে মাদক মামলায় আদালতে পাঠায় পুলিশ। সেখানে ধর্ষণের অভিযোগ জানালে আদালতের নির্দেশে খুলনা মেডিকেলে তার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়। একই সঙ্গে গত ১০ আগস্ট ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে রেলওয়ে থানায় পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেন।

পুলিশের দেওয়া মাদক মামলায় বিবাদী পক্ষের আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম জানান, পুলিশের অপরাধ ঢাকতে নির্যাতিতা নারীকে ফেনসিডিল দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে। তার ওপর থানায় পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়। এতে মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। গতকাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই নারীর জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা নামঞ্জুর করেন। আগামী রবিবার আবারও জামিন আবেদন করা হবে।

অপরদিকে রেলওয়ে থানার ওসি উছমান গণি পাঠানসহ পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার বাদী ওই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ ও সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আদালতে আবেদন করলেও বিচারক কোনো রায় দেননি। তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি ফিরোজ আহমেদ বলেন, মামলার বাদী ওই নারী আদালতে উপস্থিত না থাকায় বিচারক গতকাল এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেননি। আজ তার উপস্থিতিতে আদালত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন। বর্তমানে মাদক মামলায় তিনি কারাগারে রয়েছেন। উল্লেখ্য, এ মামলায় অভিযুক্ত রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উছমান গণি পাঠান ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হককে পাকশি পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে


সর্বশেষ সংবাদ