শারীরিক সম্পর্কের পর বিয়েতে অসম্মতি, প্রেমিকার অনশন

প্রতীকী
প্রতীকী

রাজশাহীর বাঘায় বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করছে প্রেমিকা। তবে প্রেমিকা তরুণী বাড়িতে আসার পর এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে প্রেমিক। জানা যায়, ওই প্রেমিকাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে সে। ধর্ষণের পর বিয়ের কথা বললে প্রেমিক এতে অস্বীকৃতি জানায়।

শনিবার (১৭ আগস্ট) বিকেল পর্যন্ত প্রেমিকের বাড়িতে এ অনশন লক্ষ করা যায়। ইতিমেধ্য বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছে তরুণী। ফলে দুশ্চিন্তায় পড়েছে উভয় পরিবার।

অভিযুক্ত প্রেমিক মাসুদ রানা বাঘার আড়ানী ইউনিয়নের সোনাহদ গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে। সে রাজশাহী কলেজের মাষ্টার্সের ছাত্র বলে জানা গেছে।

অনশনরত তরুণী জানান, গত প্রায় আড়াই বছর ধরে মাসুদ রানা তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে আসছে। বিয়ের প্রলোভন দিয়ে সে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। সম্প্রতি তাকে বিয়ে করতে বললে নানা টাল-বাহানা শুরু করে। ঘটনার এক পর্যায় শুক্রবার বিকেলে আমি তার বাড়িতে আসি। এ সময় সে বিয়ে করতে রাজি হয়। পরে কৌশলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। তারপর থেকে বিয়ের দাবীতে মাসুদ রানার বাড়িতে অবস্থান করছি। মাসুদ রানা বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোন পথ নেই বলেও সে সবাইকে জানিয়ে দেয়।

স্থানীয়রা জানান, এই তরুণী তার বাড়িতে আসার পর কৌশলে পালিয়েছে মাসুদ রানা ওরুপে তান্না। তারপর থেকে তাকে খোঁজ করে পাওয়া যাচ্ছে না। ছেলের বাবা আবুল মতিন বলেন, আমি স্থানীয়দের বলেছি, ছেলেকে ধরে এনে বিয়ে দেয়ার জন্য। এতে আমার কোন আপত্তি নেই।

আড়ানী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, উভয়ে আমাকে ঘটনাটি জানিয়েছে। আমি সমঝোতা করার চেষ্টা করছি। তবে ছেলে পলাতক থাকায় এখন পর্যন্ত কোন সমঝোতা করা সম্ভব হয়নি। পরে মেয়েকে ছেলের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় চকিদার ডাবলু সরকারের জিম্মায় তার বাড়িতে রাখা হয়েছে।

বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, আড়ানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমাকে বিষয়টা অবহিত করেছেন। কোন লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।


সর্বশেষ সংবাদ