শিকলে বাঁধা মাদ্রসাছাত্রী হাফসা!

  © সংগৃহীত

বরগুনার বামনায় এক মাদ্রাসাছাত্রীকে তিনদিন ধরে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে তার পরিবারের বিরুদ্ধে। নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরীর নাম হাফসা আক্তার (১৭)। ওস পাথরঘাটা উপজেলার লেমুয়া গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে এবং লেমুয়া মাদ্রাসার ছাত্রী।

তবে ওই শিক্ষার্থীর নানি, খালা ও মামার দাবি প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার ভয়ে হাফসাকে বেঁধে রাখা হয়েছে। গতকাল বুধবার (৩১ জুলাই) বিকেলে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পরিবারের লোকজন তার পায়ে বেধে রাখা শিকল খুলে দেয়।

মাদ্রাসাছাত্রী অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক হয়। পরিবারের লোকজন আমাদের সম্পর্ক মানছে না। গত রোববার ওই যুবকের সঙ্গে ঘর ছেড়ে পালানোর সিদ্ধান্ত নিই। পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান আমাদের বিয়ে পড়ানোর আশ্বাস দিলে পালানোর সিদ্ধান্ত বাতিল করি আমি। আমার মা-বাবা এলাকায় না থাকায় আমাকে দক্ষিণ ভাইজোড়া গ্রামের নানি হাসিনা বেগম ও খালা হনুফা বেগমের জিম্মায় দেন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান।

কিন্তু যাদের জিম্মায় আমাকে রাখা হয় তারা আমাকে বেঁধে রাখে। গত রোববার থেকে বুধবার পর্যন্ত গরু বাঁধার শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে আমাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে তারা। পরে স্থানীয় সাংবাদিকরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এলে আমার পায়ের শিকল খুলে দেয়া হয়।

নির্যাতিত কিশোরীর মা নূরজাহান বেগম বলেন, আমার মেয়ে এখনো অবুঝ। আমার মেয়ে যে ছেলেটিকে পছন্দ করে ওই ছেলেটি মাদক মামলার আসামি। আগে একটি বিয়ে করেছে সে। তাই ওই ছেলের সঙ্গে আমার মেয়েকে কিছুতেই বিয়ে দেব না। তাতে যদি মেয়েকে কেটে নদীতে ভাসিয়ে দিতে হয়, তাই দেব।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ডৌয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান বলেন, মেয়েটি অপ্রাপ্তবয়স্ক। মাদক মামলার আসামির সঙ্গে ঘর ছেড়ে পালাতে চেয়েছিল মেয়েটি। তাকে উদ্ধার করে নানি ও খালার জিম্মায় দিয়েছি। পরে তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে তারা। এমন কাজটি করা তাদের ঠিক হয়নি।

ঘটনার বিষয়ে জানতে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আম িছুটিতে ছিলাম। বিষয়টি আমার জানা নেই। থানায় গিয়ে বিষয়টির খোঁজ নিবো।


সর্বশেষ সংবাদ