‘মিন্নিকে নিয়ে পুলিশের বেশি উৎসাহিত হওয়া ঠিক নয়’

  © ফাইল ফটো

বরগুনায় রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান আসামিদের বাদ দিয়ে রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে নিয়ে পুলিশের বেশি উৎসাহিত হওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। রোববার বিচারপতি এফ.আর.এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। একইসঙ্গে, হাইকোর্টে করা রিট উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন আদালত।

আদালত বলেন, পুলিশ তদন্তে রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে অবশ্যই প্রধান সাক্ষী মিন্নি মামলার আসামি হতে পারে। কিন্তু মূল আসামিদের বাদ দিয়ে মিন্নিকে নিয়ে বেশি উৎসাহিত হওয়া উচিত হবে না।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

আদালত রিটকারী আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, পুলিশের তদন্তে অসন্তুষ্ট হলে মিন্নির পরিবারের কেউ আদালতে আসতে পারেন। স্বাধীন দেশে এটা সবার অধিকার।

এর আগে গত ২৫শে জুন বরগুনায় রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বা অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অধীনে তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ হাইকোটের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন।

রিটে বিবাদী করা হয় স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, পুলিশের আইজি, বরিশালের ডিআইজি, বরগুনার পুলিশ সুপার সহ সাতজনকে। এছাড়া, রিট আবেদনে রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দকা মিন্নির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি অবৈধ এবং ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করা হয়েছে।

রিটে বলা হয়, রিফাত হত্যা মামলায় মিন্নি একমাত্র প্রত্যক্ষ সাক্ষী। অন্যদিকে মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। এ অবস্থায় প্রত্যক্ষ সাক্ষীকে আসামি করলে প্রকৃত বিচার হবে না। সাক্ষীর জবানবন্দি ১৬৪ ধারায় নেয়া যাবে। কিন্তু আসামি হিসেবে জবানবন্দি নেয়া যাবে না।

অথচ মিন্নিকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়া হয়। মিন্নির গ্রেফতার ও ১৬৪ ধারার জবানবন্দি অবৈধ হবে। রিটে বলা হয়েছে, বিচার বিভাগীয় তদন্ত ছাড়া রিফাত হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব নয়। তাই ১৯৫৬ সালের তদন্ত আইন অনুযায়ী বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান রিট আবেদনকারী।


সর্বশেষ সংবাদ