বাবা, রিমান্ডে কী হয়— তা তোমরা জানো না: মিন্নি

বরগুনার বহুল আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার ১ নম্বর সাক্ষী নিহতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে। আজ রবিবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে মিন্নির জামিনের আবেদন করা হয়। এর আগে সকালে বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. মাহবুবুল বারী আসলাম আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন শুনানির আবেদন করেন।

এদিকে মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর জানিয়েছেন, পরিবারের ৮ সদস্য বরগুনা জেলা কারাগারে তার মেয়ের সঙ্গে দেখা করেছেন। এ সময় মিন্নি বলেন, ‘আমি অসুস্থ। দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারছি না। রিমান্ড কি এটা তোমরা বোঝ না?’ এই বলে মিন্নি কান্নায় ভেঙে পড়েন।

মোজাম্মেল বলেন, ‘মিন্নি যা বলে তা ঠিকভাবে বোঝা যায় না। রিমান্ড মানে সুস্থতা না। জেলের গ্রিল ধরে দাঁড়াতেও ওর কষ্ট হচ্ছিল। শরীরে ফিটনেস নেই, শুকিয়ে কাঠের মতো হয়ে গেছে।’ মিন্নির বাবা বলেন, ‘আমি বিভিন্নভাবে চাপে আছি, এখন আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে চলছি। আল্লাহ যা করেন।’ মোজাম্মেল বলেন, মিন্নির এখন চিকিৎসা প্রয়োজন।

তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশ পরিদর্শক হুমায়ুন কবির বলেন, তারা নিয়ম অনুযায়ী মিন্নিকে আদালতে হাজির করেছেন। তিনি আদালতে স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিয়েছেন। তাকে ভয়ভীতি দেখালে তিনি সেটা আদালতে বলতে পারতেন। হুমায়ুন কবির আরও বলেন, এ ধরনের আসামিরা পরিবারের সান্নিধ্য পেলে এরকম কথা বলে থাকেন।

মিন্নিকে আইনি সহায়তা দিতে বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল বারী আসলামকে নিয়োগ দিয়েছে তার পরিবার। তিনি জানান, আজ রোববার আদালতে মিন্নির জামিন আবেদন করা হবে। এদিকে মিন্নিকে গ্রেফতার করার পর বাড়ি থেকে পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে শুক্রবার সন্ধ্যায় মিন্নিকে কারাগারে পাঠানোর পর থেকে বাড়ির সামনে পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।

রিফাত হত্যা মামলায় নাটকীয়ভাবে মিন্নিকে ১৬ জুলাই গ্রেফতার দেখানো হয়। ১৭ জুলাই বরগুনা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে রিমান্ড শেষ হওয়ার আগেই ১৯ জুলাই মিন্নি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ায় তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ