মাদ্রাসা শিক্ষকের বেত্রাঘাতে হাসপাতালে ছাত্র

  © সংগৃহীত

টাকা চুরির অভিযোগে এক ছাত্রকে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করার অভিযোগ উঠেছে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গুরুতর অবস্থায় মাদ্রাসা ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্প্রতিবার ঘটনানাটি ঘটেছে পটুয়াখালীর হেতালিয়া বাঁধঘাট বায়তুল আহাদ আকন বাড়ী হাফিজিয়া মাদ্রাসায়।

জানা গেছে, মাদ্রাসার ছাত্র শিশু সুমন চৌকিদারকে (১৩) চুরির অভিযোগে নৃশংসভাবে পেটান শিক্ষক আহসান উল্লাহ। গুরুতর অবস্থায় সুমনকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশালে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষক আহসান উল্লাহকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় সুমনের মা মোসা. রেহেনা বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

সুমনের মা বলেন, অনেক কষ্টে সুমনকে হেতালিয়া বাঁধঘাট বায়তুল আহাদ আকন বাড়ী হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করেন। বৃহস্পতিবার ওই মাদ্রাসার শিক্ষক আহসান উল্লাহর দুই হাজার টাকা খোয়া যায়। এ ঘটনায় তিনি সুমনকে সন্দেহ করে তার রুমে ডেকে নিয়ে বেত্রাঘাত করেন। সুমনকে পেটানোর এক পর্যায়ে বেত ভেঙে গেলে লোহার রড এনে পুনরায় পেটানো শুরু করেন।

এ সময় সুমন চিৎকার শুরু করলে শিক্ষক অন্য ছাত্রদের চেঁচিয়ে শব্দ করে পড়ার নির্দেশ দেন। সুমনের কান্নার শব্দ বাইরে যাওয়ার আশঙ্কায় তার মুখে কসটেপ লাগিয়ে তৃতীয় দফা পেটান। পিটুনি শেষে সুমনকে কাপড় দিয়ে হাত-পা বেঁধে একটি কক্ষে আটকে রেখে শিক্ষক আহসান তার মৃত দাদীর জানাজায় অংশ নিতে সদর উপজেলায় আউলিয়াপুরে যায়।

ঘটনার দেড় ঘণ্টা পরে সুমনের সহপাঠী ও ফুফাত ভাই আকাশ পালিয়ে সুমনের পরিবারকে জানায়। খবর পেয়ে সুমনের পরিবার সুমনকে উদ্ধার করতে আসলে শিক্ষকের বাধার মুখে পড়ে। এ সময় স্থানীয়দের সহায়তায় সুমনকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে তারা।শিশুটির অবস্থা খারাপ হওয়ায় শুক্রবার বিকেলে তাকে পটুয়াখালী হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চি করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নির্যাতনের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।


সর্বশেষ সংবাদ