প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ

প্রতীকী
প্রতীকী

নেত্রকোনার বারহাট্টায় এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রধান শিক্ষকের নামে মামলা করা হয়। জানা যায়, এরআগেও এ শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রী লাঞ্ছনার অভিযোগ ছিলো।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলাটি হয়েছে হাজীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আইন উদ্দিনের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগীর ভাইয়ের ভাষ্য, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি টিফিনের সময় ওই ছাত্রীকে আইন উদ্দিন নিজের কক্ষে ডেকে পাঠান। এরপর তাকে গোসলখানায় গিয়ে থালা-বাটি ধুয়ে দিতে বলেন। এর কিছুক্ষণ পর প্রধান শিক্ষক সেখানে গিয়ে ওই ছাত্রীকে মারধরের পাশাপাশি ধর্ষণ করেন। সঙ্গে ওই ছাত্রীকে হুমকি দেন, এ ঘটনা কাউকে জানালে হত্যা করা হবে। ভয়ে ওই ছাত্রী প্রথমে বিষয়টি চেপে যায়।

ভুক্তভোগীর ভাই দাবি করেন, রোজার ছুটিতে ওই ছাত্রী এক বোনের বাড়ি বেড়াতে যায়। সেখানে সে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তখন বিষয়টি নিয়ে অনেকের সন্দেহ হয়। এরপর স্বজনদের কাছে সে ঘটনা খুলে বলে।

এর আগেও এক ছাত্রীকে ওই প্রধান শিক্ষক ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সর্বশেষ ভুক্তভোগীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে সে তার এক সহপাঠীকে প্রধান শিক্ষককের কক্ষ থেকে বের হতে দেখে। তখন সে সহপাঠীর কাছে ঘটনা জানতে চায়। সহপাঠী জানায়, প্রধান শিক্ষক তাকে ধর্ষণ করেছেন।

স্থানীয়রা জানায়, ২০০৮ সালে শিক্ষক মোজাম্মেল হক খুনের ঘটনায় যে মামলা হয়েছিল, তাতে আইন উদ্দিনের নামও ছিল।

সাবেক ইউপি সদস্য আজিমুদ্দিন বলেন, প্রধান শিক্ষকের নামে একাধিক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির কথা শুনেছি।

বারহাট্টা উপজেলা চেয়ারম্যান মাইনুল হক কাসেম বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তিনি এর আগেও একাধিক অপকর্মে জড়িত ছিলেন। তিনি একটি খুনের মামলারও আসামি। সেটাও মেয়েঘটিত।

বারহাট্টা সার্কেলের এএসপি মো. সফিউল ইসলাম বলেন, এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত চলছে। আশা করি প্রধান শিক্ষককে আমরা গ্রেপ্তার করে ফেলব।


সর্বশেষ সংবাদ