দুদকের পরীক্ষা বাতিলের রিট খারিজ

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সহকারী পরিচালক পদের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের রিট খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি নেন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ।

দুদকের পরীক্ষায় যে ২৬২ জন প্রার্থীর আবেদনপত্র বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, সে বিষয়ে আদালত বলেছেন, সময়ের অভাবে হয়তো দুদক তাদের তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি। এজন্য পরীক্ষা বাতিলে রুল জারি করা যুক্তিসংগত মনে হয় না। তাই দুদকের পরীক্ষা পেছাতে যে রিট করা হয়েছে— তা খারিজ করা হলো।

সহকারী পরিচালক পদের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের জন্য চাকরি প্রার্থীদের পক্ষে গত বুধবার হাইকোর্টে একটি রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুনতাসির মাহমুদ। 

এদিকে রিট খারিজ হয়ে যাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন দুদকের পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানানো প্রার্থীরা। তাদের তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে কয়েকজন বলেন, এখন আমরা হতাশ। এই বাইরে আর কিছু বলতে পারছি না। তবে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে পরে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানান। 

এর আগে বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন পালন করেন তারা।

এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সহকারী পরিচালকের ১৩২টি শূন্যপদে প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষার ফলাফলে সিট প্ল্যানের বাইরে একজনের উত্তীর্ণ হওয়া নিয়ে প্রশ্নের ব্যাখ্যা দেয় টেলিটক। টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের মার্কেটিং অ্যান্ড ভ্যাস বিভাগের ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ আল-রাজ্জাকুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি সম্পর্কে জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দুদকের সহকারী পরিচালক পদের প্রার্থীদের আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ৯২ হাজার ৯৫৪ জন প্রার্থীর অনুকূলে প্রবেশপত্র ইস্যু করা হয় এবং সেভাবেই আসন বিন্যাস প্রণয়ন করা হয়। প্রবেশপত্র ইস্যু করার পর যাদের অনুকূলে প্রবেশপত্র ইস্যু করা হয়নি, তাঁদের কতিপয় আবেদনকারী দুদক বরাবর আবেদন করেন।

এরপর দুদকের অনুরোধে টেলিটকের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আবেদনপত্র পুনরায় যাচাই-বাছাই করে ২৬২ জন প্রার্থীর আবেদনপত্র বৈধ হয়। পরে চিঠি দিয়ে তা দুদককে জানানো হয়। দুদকের অনুরোধে শেষ মুহূর্তে ২৬২ জন প্রার্থীর নামে প্রবেশপত্র ইস্যু করা হয়।

তাঁদের মোবাইল ফোনে খুদে বার্তা পাঠানোর মধ্যমে পরীক্ষাকেন্দ্রে উল্লেখ করে বিষয়টি জানানো হয়। এসব কারিগরি ত্রুটির কারণে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছে টেলিটক।

এছাড়া গত শনিবার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সহকারী পরিচালকের ১৩২টি শূন্যপদে প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষার ফলাফলে একজনের উত্তীর্ণ হওয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। দেখা গেছে পরীক্ষার আসনবিন্যাসে (সিট প্ল্যান) উল্লেখ করা সর্বশেষ রোল নম্বরের বাইরে থেকে একজন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।

আর এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন চাকরিপ্রার্থীদের অনেকে।এসব সমালোচনার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে দুদক বলেছে, মুঠোফোন অপারেটর টেলিটকের ‘যাচাই-বাছাইয়ে’ দেরি হওয়ার কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এটি নিয়ে সংশয়ের কিছু নেই। শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ