চাকরির আবেদন ফি দুইশোর বেশি নয়: রাব্বানী

গোলাম রাব্বানী
গোলাম রাব্বানী  © টিডিসি ফটো

বেকারত্বকে অভিশাপ হিসেবে আখ্যা দিয়ে যেকোন ধরনের চাকরির আবেদন ফি ২০০ টাকার মধ্যে রাখার দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানী।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এই দাবি জানান তিনি। এসময় তিনি পরীক্ষার্থীদের বিড়ম্বনার কথা বিবেচনা করে পরীক্ষার কেন্দ্রগুলো নিজ নিজ জেলায় অথবা বিভাগীয় শহরের করার আহবান জানান।

ফেসবুকে রাব্বানী লিখেছেন “বেকারত্ব যে কত বড় অভিশাপ, আর আর্থিকভাবে অসচ্ছল নিন্ম বা মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষিত কিন্তু কর্মহীন ছেলেমেয়েদের দুঃখ-কষ্ট, অসহায়ত্ব বা হতাশার কথা লিখতে গেলে তা গল্প, উপন্যাস নয় বিষাদ সিন্ধু ন্যায় মহাকাব্য হয়ে যাবে।

বছর বছর সমানুপাতিক হারে বাড়ছে শিক্ষিত বেকার আর হতাশা।

সবার চাকরির নিশ্চয়তা সরকার দিতে পারবে না, সে অর্থনৈতিক সামর্থ্যও আমাদের হয়ে ওঠেনি। তবে সরকারি নীতিনির্ধারকগণের সদিচ্ছা, সুমতি আর সুদৃষ্টি হলে লাখোলাখো চাকরি প্রত্যাশী বেকারদের কষ্ট কিছুটা লাঘব করা সম্ভব।

দুটি ন্যায্য ও যৌক্তিক চাওয়াঃ

১. সরকারি-বেসরকারি যেকোনো চাকরির আবেদন ফি কোনক্রমেই ১০০/২০০ টাকার বেশি না হয় সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করে সেটা নিশ্চিত করা। অতিরিক্ত আবেদন ফি বেকার ছেলেমেয়েদের কাছে ঠিক মরার উপর খাড়ার ঘাঁয়ের মতো!

২. চাকরিপ্রার্থীরা যেন নিজ জেলা অথবা নিদেনপক্ষে নিজ বিভাগেই সব ধরনের পরীক্ষা দিতে পারে, সেটা নিশ্চিত করা। ছোট-বড় সব ধরনের চাকরির প্রিলি-রিটেন-ভাইবা সবকিছুর জন্যই কেন ঢাকা আসতে হবে! বাইরের একটা কর্মহীন ছেলে বা মেয়ে ঢাকায় চাকরির পরীক্ষা দিতে এসে থাকা-খাওয়া নিয়ে কতটা বিড়ম্বনা বা অসহায়ত্ব বোধ করে, তা কেবল ভুক্তভোগী জানেন। এক্ষেত্রে বিকেন্দ্রীকরণটা অতীব জরুরি!

আশা করি, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ সরকারি নীতিনির্ধারকগণ এই যৌক্তিক দাবী দুটি গুরুত্বসহকারে আমলে নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন। ’’

এদিকে সব ধরণের চাকরির আবেদন ফি কমানোর দাবিতে আন্দোলন করেছে চাকরিপ্রার্থীরা। বুধবার সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি রাজু ভাস্কর্যে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছেন তারা। এতে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন।

সাধারণ চাকরিপ্রার্থীদের ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, অনেক চাকরির আবেদনে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে। যা বেকার চাকরিপ্রার্থীদের অনেকের দেয়ার সামর্থ্য নেই।

তারা বলেন, সবার জন্য যাতে আবেদনের সুযোগ তৈরি হয়, সেজন্য অবশ্যই চাকরির আবেদন ফি কমাতে হবে। অন্যথায় বৈষম্য তৈরি হচ্ছে। যারা বিত্তশালী তারা আবেদন করতে পারছেন, অন্যরা টাকার অভাবে আবেদন করা থেকে বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে।

জানা গেছে, চাকরির আবেদন ফি চারতি স্তরে রাখার দাবিতে এ আন্দোলনের ডাক দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ৯ম গ্রেডের জন্য আবেদন ফি ২০০ টাকা, ১০ম গ্রেডের জন্য আবেদন ফি ১৫০ টাকা, ১১ থেকে ১৪তম গ্রেডের জন্য আবেদন ফি সর্বোচ্চ ১০০ টাকা এবং ১৫ থেকে ২০তম গ্রেডের জন্য আবেদন ফি সর্বোচ্চ ১০০ টাকা নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন তারা।


সর্বশেষ সংবাদ