এক হাজারের বেশি পদে শিক্ষক নিয়োগ ৬০৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে

  © সংগৃহীত

দেশের ৬০৪ কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক হাজার ১৯৯ পদে শিক্ষক নিয়োগ দিতে বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ১৫তম নিবন্ধনের উত্তীর্ণ প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। ইতিমধ্যে এসব পদে নিয়োগে সম্মতি জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকভাবে সেসিপ প্রকল্পের আওতায় ৬০৪ স্কুল ও মাদরাসায় এক হাজার ১৯৯ শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়া হবে।

জানা গেছে, সাধারণ শিক্ষায় বৃত্তিমূলক কোর্স চালুর অংশ হিসেবে এসব শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। জনবল কাঠামো সংশোধন করে এসব পদের শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করা হবে।

কর্মকর্তারা জানান, গত ফেব্রুয়ারিতে সারাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সুপরিশ করে এনটিআরসিএ। তার ভিত্তিতে অধিকাংশ প্রার্থী যোগদান করলেও অনেক প্রার্থীকে যোগদান করতে না দেয়া, নানাভাবে অসহযোগিতা, এমপিওভুক্ত না হলেও শূন্য আসনের তালিকা পাঠানো, বিষয় অনুমোদন ছাড়াই তালিকা প্রদান, একটি পদে একাধিক চাহিদা দেয়ায় অনেকে এমপিও সুবিধা থেকে বঞ্চিত। ভুক্তভুগীরা বিষয়গুলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়, এনটিআরসিএ ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরে লিখিতভাবে জানান। তার ভিত্তিতে এমপিওভুক্তি নীতিমালা সংশোধন করে কড়া নির্দেশনা জারি করে এনটিআরসিএ।

ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শূন্য আসনের তালিকা মোতাবেক এনটিআরসিএ নিয়োগের জন্য মেধাভিত্তিক প্রার্থীদের নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছে। তাই সেসব প্রার্থীকে অতিসত্বর নিয়োগ দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়। প্রয়োজনে সেসব প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষকদের বেতন বন্ধ করে শূন্য আসনে এনটিআরসিএর সুপারিশ করা শিক্ষকদের নিয়োগ দেয়া যেতে পারে। এ আদেশ অমান্য হলে সেসব প্রতিষ্ঠানের কার্যকর কমিটি ভেঙে দেয়া হবে বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান এসএম আশফাক হুসেন বলেন, গত বছর শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রার্থীদের আবেদনের ভিত্তিতে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশের পর অনেক প্রার্থী লিখিতভাবে বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন। সেসবের ভিত্তিতে আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লিখিতভাবে জানাই। তারা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার পর অনেকের সমস্যা সমাধান হলেও এখনো দুই শতাধিক প্রার্থী যোগদানের বাইরে রয়েছে। তবে দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা হবে।

তিনি আরও বলেন, চলতি মাসে শুরু হওয়া নিয়োগ কার্যক্রমে যাতে এসব সমস্যা না হয় সে জন্য আমরা সজাগ থাকবো। শূন্য আসনের চাহিদাপত্র পাওয়ার পর তা নিবিড়ভাবে যাচাই-বাছাই করা হবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, এনটিআরসিএর ১-১৪তম শিক্ষক নিবন্ধত পরীক্ষায় অংশ নিয়ে প্রায় সাত লাখ প্রার্থী পাস করেন। তাদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত। এমপিওভুক্ত শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী গত বছর থেকে ৩৫ বছরের নিচে প্রার্থীরা নিয়োগের জন্য আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন। চলতি মাসে ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে।