দ্বিতীয় দিনের গণঅনশনে ‘৩৫ চাই’ আন্দোলনকারীরা

  © টিডিসি ফটো

৪ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনে মতো গণঅনশনে বসেছেন চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করা চাকরিপ্রত্যাশীরা। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্রকল্যাণ পরিষদের ব্যানারে ‘৩৫ চাই’ আন্দোলন করছেন তারা।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনশনে বসেছেন তারা।

এ বিষয়ে জানিয়ে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্রকল্যাণ পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক মুজাম্মেল মিয়াজী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, গত শুক্রবার বিকেলে আমরা গণঅনশ শুরু করছি। পরে পুলিশি বাধায় সন্ধ্যায় প্রথম দিনের মতো আমরা অনশন শেষ করি। আজ শনিবার দ্বিতীয় দিনের মতো আবার গণঅনশনে বসেছি।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ প্রত্যাশা করে মোজাম্মেল মিয়াজী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের দাবিগুলোর যৌক্তিকতা তুলে ধরতে তার সাক্ষাৎ চাই। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচী চলবে।

এর আগে শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণঅনশন শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। পরে পুলিশি বাধার কারণে প্রথম দিনের মতো গণঅনশন স্থগিত করেন তারা।

তাদের ৪ দফা দাবি হলো- চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি করে ৩৫ বছরে উন্নীত করা; চাকরির আবেদন ফি কমিয়ে ৫০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে নির্ধারণ করা; চাকরির নিয়োগ পরীক্ষাগুলো জেলা কিংবা বিভাগীয় পর্যায়ে নেওয়া ও চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা এবং সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা।

আন্দোলনের বিষয়ে জানিয়ে মোজাম্মেল মিয়াজী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, গত কয়েকদিন আগে আওয়ালীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাথে ‘৩৫ চাই’ আন্দোলনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ৪১তম বিসিএসের আগেই তোমাদেরকে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় কোন প্রকার সিদ্ধান্ত না জানিয়েই ৪১তম বিসিএসের সার্কুলার দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এতে করে প্রায় ২৬ লক্ষ শিক্ষিত যুব-সমাজ ক্ষুব্ধ ও হতাশ হয়েছে। তাই ৪১তম বিসিএসে ৩৫ দাবি অন্তর্ভুক্ত করে পুনরায় সার্কুলারের দাবি এবং ৩৫সহ ৪ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়ে আমাদের এই গণঅনশন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ধারাবাহিক কর্মসূচীর অংশ হিসেবে অনশন করবেন জানিয়ে আরেক সমন্বয়ক সুরাইয়া ইয়াসমিন বলেন, শনিবার সকাল থেকে ফের অনশনে যাব আমরা। দাবি না মানা পর্যন্ত আমাদের এই গণঅনশন চলবে।