সারাদেশে আবারো জেগে উঠেছে ৩৫ প্রত্যাশীরা

আন্দোলনরত ৩৫ প্রত্যাশীরা
আন্দোলনরত ৩৫ প্রত্যাশীরা  © ফাইল ফটো

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে আগামী ৩১ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করবে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ। এছাড়া ৭ সেপ্টেম্বের ঢাকায় তারা মহাসমাবেশ করবে। বিষয়টি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেছে সংগঠনটির মুখপাত্র ইমতিয়াজ হোসেন।

ঢাকার এই আন্দোলনগুলো সফল করার লক্ষে এবং সারাদেশে ৩৫ এর আন্দোলন আরও গতিশীল করতে দেশের বিভিন্ন জেলায় মতবিনিময় সভা করছে সংগঠনটি। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার (২১ আগস্ট) টাঙ্গাইলে মতবিনিময় সভা করেছে সংগঠনটি।

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ টাঙ্গাইল জেলার সভাপতি এনামুল হকের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কমিটির নেত্রী সোনিয়া চৌধুরির সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র ইমতিয়াজ হোসেন ও টাঙ্গাইলের ৩৫ প্রত্যাশি নেতাকর্মীরা।

ইমতিয়াজ হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, চলতি মাসে সারাদেশ ব্যাপী আমাদের কর্মসূচী চলবে। ময়মনসিংহে আমাদের মতবিনিময় সভা আছে। এছাড়া যাত্রাবাড়ীতেও আমরা কাল (২২ আগস্ট) সভা করবো। আগামী ৭ আগস্ট ঢাকায় আমাদের যে মহাসমাবেশ এই সমাবেশ সফল করার লক্ষে আমাদের এই কর্মসূচী বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে ২০১২ সাল থেকে আন্দোলন করে আসছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তবে জাতীয় সংসদে কণ্ঠভোটে নাকচ হয়েছে ৩৫-এর সব চাওয়া-পাওয়া। তারপরও আন্দোলন থেকে সরে আসেননি আন্দোলনকারীরা। সাংগঠনিকভাবে কিছুটা গুছিয়ে উঠে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা। এ প্রক্রিয়ায় রয়েছেন আন্দোলনকারীদের সংগঠক ফেরদৌস জিন্নাহ লেলিন, সঞ্জয় দাসসহ আরও অনেকে।

জানা গেছে, সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলন সফলতার মুখ দেখলেও এখনো চলছে ‘৩৫ চাই’ আন্দোলন। চলতি বছরে এসেও কয়েক দফা কর্মসূচি পালন ও পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘটেছে গ্রেফতারের ঘটনাও। এরইমধ্যে তাদের মধ্যে নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব ও মতবিরোধ দেখা দেওয়ায় আন্দোলন কিছুটা ঝিমিয়ে পড়েছিলো।

তবে সেই দ্বন্দ্বের অবসান হয়েছে বলে জানিয়েছেন ৩৫ চাই আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। তবে সংসদে নাকচ হয়ে যাওয়ায় নতুন কর্মসূচিতে সরকারের বাঁধা আসতে পারে বলে আন্দোলনের নেতাকর্মীরা অনেকে মনে করছেন। তবে এতে তারা বিচলিত নন বলেও জানিয়েছেন।

গত ২৫ এপ্রিল চাকরি প্রত্যাশীদের বহুল কাঙ্ক্ষিত চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার প্রস্তাব জাতীয় সংসদে ওঠে। তবে তা নাকচ করে দিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, পড়াশোনা শেষ করার পর একজন ছাত্র অন্তত সাত বছর সময় পেয়েছে। এটা অনেক সময়। তাছাড়া এর আগে চাকরির বয়স ২৫ বছর ছিল, সেখান থেকে ২৭ ও পরবর্তীতে ৩০ বছর করা হয়। সে হিসেবে এখন বাড়ানোর যৌক্তিকতা নেই।

এ সময় তিনি প্রস্তাব উত্থাপনকারী সংসদ সদস্যকে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার আহবান জানান এবং প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। কিন্তু বগুড়া-৭ আসনের সংসদ সদস্য মো. রেজাউল করিম বাবলু সেটি প্রত্যাহারে রাজি না হলে কণ্ঠভোটের আয়োজন করা হয়। কণ্ঠভোটে প্রস্তাবটির বিপক্ষে ভোট দেন সংসদ সদস্যরা। মূলত প্রস্তাবটি পাস না হওয়াতেই তীব্র হতাশ হয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।


সর্বশেষ সংবাদ