মুসলিম মন্দির আর হিন্দু মসজিদ রক্ষা করবে— এই ভ্রাতৃত্ব দরকার

  © টিডিসি ফটো

মুসলিমরা মন্দির রক্ষা করবে, আর হিন্দু মসজিদ রক্ষা করবে— এ অঞ্চলে এমন ভ্রাতৃত্ব বড় দরকার বলে মনে করেন কলকাতায় নির্বাসিত বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। সম্প্রতি ভারতের বেঙ্গালুরুতে চলমান সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, বেঙ্গালুরের কংগ্রেস নেতা অখণ্ড শ্রীনিবাস মূর্তির ভাইপো নবীন লিখেছে ফেসবুকে শেষনবীকে নিয়ে। ক্ষুব্ধ মুসলিম রাস্তার গাড়ি তো পুড়িয়েছে, অখণ্ডর বাড়িও পুড়িয়ে দিয়েছে।

তিনি লিখেন, কিন্তু সব মুসলিমই কি পুড়িয়েছে? না। কিছু মুসলিম হাতে হাত ধরে মানববন্ধন তৈরি করেছে। কেন? পেছনের মন্দিরটিকে বাঁচানোর জন্য। উন্মত্ত মুসলিমরা যেন মন্দিরের কোনও ক্ষতি না করতে পারে। মুসলিম মন্দির রক্ষা করবে, হিন্দু মসজিদ রক্ষা করবে। এই ভ্রাতৃত্ব বড় দরকার এ অঞ্চলে।

জানা গেছে, ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.) নিয়ে ফেসবুকে লেখালেখির কারণে গত মঙ্গলবার ভারতের বেঙ্গালুরুতে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এসময় বেঙ্গালুরুর টিআর নগরের হমুমানমন্দিরের বাইরে মুসলিম যুবকরা মানবঢাল তৈরি করে রাখে। যাতে বিক্ষুব্ধ জনতা মন্দিরে হামলা করতে না পারে।

পুলাশিনগরের এমএলএ আখন্দ শ্রীনিবাসমূর্তির অফিস ও বাসভবনের কাছে মন্দিরটি অবস্থিত। মঙ্গলবার উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার পর বিক্ষুব্ধ মানুষ যখন মন্দিরের এলাকায় প্রবেশ করে তখন একদল মুসলিম যুবক মানবঢাল তৈরি করে এবং বিক্ষোভকারীদের অন্যত্র সরিয়ে দেয়।

অন্যদিকে নবীন নামক যে যুবকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে ইসলাম অবমাননাকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে, বিক্ষোভের সময় তার মাকেও মুসলিম যুবকরা রক্ষা করেছে।

তার মা জয়ন্তী বলেন, যদি মুসলিম যুবকরা আমাকে রক্ষায় এগিয়ে না আসত, তবে হয়তো আজ আমি বেঁচে থাকতাম না।


সর্বশেষ সংবাদ