ভাইরাস পরবর্তী বিশ্ব নিয়ে টেলিনরের ৩ পূর্বাভাস
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২০, ০৩:১১ PM , আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২০, ০৩:১১ PM
এক মহামারি করোনা ভাইরাস কেরে নিয়েছে পৃথিবীর যোগাযোগ ব্যবস্থা , কর্মসংস্থানসহ অর্থনীতির চাকা। করোনা পরিস্থিতিতে সবকিছু অচল হয়ে থমকে দাঁড়িয়ে আছে। এরই মধ্যে এবার ভাইরাস পরবর্তী বিশ্ব নিয়ে টেলিনর পক্ষ থেকে গবেষণা করে তিনটি পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এতে নতুন এক বিশ্ব গঠনে সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনকে অন্যান্য সময়ের চেয়ে অনেক দ্রুত ঘটার কথা বলা হয়েছে। টেলিনরের গবেষণা বলছে, আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়া আর হবে না।
টেলিনরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে নতুন অবকাঠামো নতুনভাবে কাজের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে। প্রথাগত অফিসের প্রয়োজনীয়তা কমবে। বাড়ি কিংবা নিরপেক্ষ কর্মপরিবেশ থেকে কাজ করার ক্ষেত্রে কর্মীদের সংখ্যা বাড়বে। সরকার আরও বেশি ডিজিটাল এবং যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়নের মাধ্যমে শহরগুলোকে কীভাবে সংগঠিত করা যায়, তা নিয়ে নতুন চিন্তাভাবনা শুরু করবে।
এছাড়াও নতুন কাজের ক্ষেত্র কর্মীদের শহরের নানা প্রান্তে এবং আবাসিক এলাকার কাছাকাছি থাকতে সহায়তা করবে, যা যাতায়াতের সময় বাঁচাবে। দূষণের পরিমাণ কমাবে। নতুন কাজের ক্ষেত্র বৃদ্ধি পাবে। ফলে শহর হবে পরিবেশবান্ধব এবং পথচারীদের চলাচলে সহায়ক।
টেলিনরের গবেষণা অনুযায়ী, নতুন ধরনের চাকরির সম্ভাবনা দেখা দেবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) আরও কার্যকর উপায়ে কর্মী নিয়োগের বিষয়ের ক্ষেত্রে রূপান্তর ঘটাবে। নিয়োগকর্তা ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করে অ্যালগরিদম স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাই-বাছাই করে অনুপযুক্ত প্রার্থীকে বাদ দেবে এবং উপযুক্ত প্রার্থীকে সংযুক্ত করবে।
টেলিনর পূর্বাভাস দিয়েছে, সংক্রামক রোগ প্রসারের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষেত্রে ডেটা বা তথ্য গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠছে। গতিবিধি বিশ্লেষণ রোগ পূর্বাভাসের চেয়েও বেশি তথ্য প্রদানের সম্ভাবনা রয়েছে। এ তথ্য স্মার্ট সিটি পরিকল্পনা, পরিবেশগত বিশ্লেষণে সহায়তাসহ শিল্পখাতের প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে।
টেলিনর রিসার্চের ভাইস প্রসিডেন্ট গর্ম আন্দ্রিয়াস গিরননেভেত বলেছেন, ‘এমন মহামারি আমাদের দেখিয়েছে সকল উদ্ভাবনের মূলেই রয়েছে প্রয়োজনীয়তা। এটা স্পষ্ট যে, আমরা যেভাবে আমাদের শহর, প্রতিষ্ঠান ও সমাজ পরিচালনা করি সেখানে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। পেন্ডুলামের কাটা এখন পরিবর্তনের দিকে। মহামারি আমাদের সবাইকে প্রচলিত ধারণার বাইরে ভাবতে সহায়তা করছে। আমাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক আচরণে পরিবর্তন আসবে।’