‘হঠাৎ বৃষ্টি’ চলচ্চিত্রের পরিচালক বাসু চট্টোপাধ্যায় আর নেই

  © এনডিটিভি

আবারও বড় ধাক্কা খেল বলিউড। সকলকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন পরিচালক বাসু চট্টোপাধ্যায়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন এক টুইট বার্তায় তাঁর মৃত্যুর কথা ঘোষণা করেছে।

দীঘর্দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ‘ছোটি সি বাত', ‘রজনীগন্ধা', ‘বাতো বাতো মে', ‘চামেলি কি শাদি', ‘এক রুকা হুয়া ফয়সলা’, ‘কমলা কি মৌত’, ‘চিতচোর', ‘খাট্টা মিঠা’র মতো বহু ছবির পরিচালনা করেছেন তিনি। খবর: এনডিটিভি।

ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন তাদের টুইট বার্তায় জানিয়েছে, ‘আইএফটিডিএ-র কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতা বাসু চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি তাঁর চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সামাজিক ও নৈতিক বিষয় তুলে ধরেছিলেন। আমরা সর্বশক্তিমানের কাছে তাঁর মহৎ আত্মার জন্যে শান্তি কামনা করছি এবং তাঁর পরিবারকে এই অপূরণীয় ক্ষতি সহ্য করার মতো সাহস দিন, ঈশ্বরের কাছে এই প্রার্থনা করি।’

হিন্দির পাশাপাশি বাংলা চলচ্চিত্রও পরিচালনা করেন বাসু চট্টোপাধ্যায়। ‘হঠাৎ সেই দিন’, ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ এবং ‘হচ্ছেটা কী’ এর মতো ছবিগুলো বাঙালি মনে রাখবে। অমিতাভ বচ্চন, জিতেন্দ্র, দেব আনন্দ, রাজেশ খান্না, ধর্মেন্দ্র এবং হেমা মালিনীর মতো অভিনেতাদের নিয়ে কাজ করেছিলেন বাসু চট্টোপাধ্যায়

আশি ও নব্বইয়ের দশকে বেশ কিছু জনপ্রিয় টিভি শোও পরিচালনা করেছিলেন পরিচালক বাসু চট্টোপাধ্যায়, তার মধ্যে ছিল রজনী, দর্পণ, কাকাজি কাহিনীর মতো শো। দূরদর্শনের জনপ্রিয় সিরিজ ‘ব্যোমকেশ বক্সী’-ও তৈরি হয়েছিল তাঁরই হাত ধরে। পরপর দু'টি সিজনে কাজ করেছিলেন তিনি, ব্যোমকেশের ৩৪টি পর্ব পরিচালনা করেছিলেন তিনি।

নিজের ক্যারিয়ারে বহু পুরষ্কার জিতেছিলেন বাসু চট্টোপাধ্যায়। তবে ১৯৯২ সালে ‘দুর্গা’ চলচ্চিত্রের জন্যে তিনি সেরা পারিবারিক চলচ্চিত্র বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার পান।


সর্বশেষ সংবাদ