২১ মে ২০২০, ১৯:৫৩

ভয়াবহ আরও ১০ দুর্যোগের সামনে বিশ্ব

  © সংগৃহীত

প্রাকৃতিক কারণে বিশ্বে প্রতি বছরই ভয়াবহ দুর্যোগ দেখা যায়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় দাবানল দেখা গেছে। বিভিন্ন দেশে পঙ্গপালের হামলা হয়েছে। আর গোটা বিশ্বজুড়ে চলছে করোনাভাইরাস মহামারি।

বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে জানিয়েছেন, চলতি শতকে পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে আরও অনেক প্রাকৃতিক বিপর্যয়। সেগুলো ধারাবাহিকভাবে উল্লেখ করা হল-

১. পৃথিবীর দিকে আগামী এক দশকের মধ্যে ধেয়ে আসতে চলেছে ভয়ানক সৌর ঝড়। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বের প্রায় সব প্রান্তেই এ ঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে।

২. এদিকে বিধ্বংসী ভূমিকম্পের সম্মুখীন হতে চলেছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া। রিখটার স্কেলে আট কিংবা তারও বড় মাপের ভূমিকম্প হতে পারে বলে দাবি ভূমিকম্প গবেষক সংস্থা ইউএসজিএস-এর।

৩. লন্ডন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দাবি, ভয়াবহ সুনামি দেখা দিতে পারে ক্যারিবিয়ান সাগরে। এতে সমূদ্রগর্ভে হারিয়ে যেতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের বিস্তীর্ণ অংশ।

৪. যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা- নাসার তথ্য অনুসারে ২০৫০ সালের মধ্যে ভয়াবহ প্লাবনের কবলে পড়তে চলেছে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূল।

৫. ২০৬৫ সালের মধ্যে সুনামি ধেয়ে আসতে পারে অরেগাঁওতে। সিসমোগ্রাফ যন্ত্রে আট থেকে নয় তীব্রতা থাকতে পারে সেটির।

৬. জাপানের পার্বত্য অঞ্চলগুলোয় হতে পারে ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাত। এতে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে মানবকূলের।

৭. ২০২০ সালেই জোড়া ভূমিকম্পে কেঁপে উঠতে পারে জাপান। গবেষকদের মতে, রিখটার স্কেলে জোড়া ভূমিকম্পের তীব্রতা থাকবে ৯।

৮.  বিজ্ঞানীদের মতে ২০৬৫ সালের মধ্যে অনেকবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠবে চিলি। এর তীব্রতা থাকবে গড়ে রিকটার স্টেলে ৮.২। এর ফলে হতে পারে সুনামি।

৯. বারোয়াবুঙ্গা নামক আগ্নেয় উপত্যকায় ঘটবে অগ্ন্যুৎপাত। এর ফলে আইসল্যান্ডের কাছে হতে পারে ভয়াবহ ভূমিকম্প। বড় ভূমিকম্প না হলেও কম সময়ে একাধিকার কেঁপে উঠতে পারে সেখানকার ভূমি।

১০. হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে, ২০৫০ সালের মধ্যে বহুবার দাবানলের কবলে পড়বে যুক্তরাষ্ট্রের জঙ্গলগুলো। পরিসংখ্যান অনুসারে, জঙ্গলগুলোয় প্রতি বছর গড়ে ৩০ থেকে ৫০ হাজার দাবানল হতে পারে। সূত্র: কলকাতা২৪।