করোনা: জার্মানির দুই লাখ মাস্ক চুরির অভিযোগ প্রত্যাখান ট্রাম্পের!

  © ফাইল ফটো

করোনাভাইরাস নিয়ে হোয়াইট হাউসে বক্তব্য রাখার সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামনের কয়েক সপ্তাহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কী অপেক্ষা করছে সেটার একটি মূল্যায়ন দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পরের সপ্তাহ, ‘সম্ভবত সবচেয়ে কঠিন’ সময় হবে।

এসময় ‘অনেক মৃত্যুর’ জন্য অপেক্ষা করতে তিনি আমেরিকানদের সতর্ক করেছেন। কোভিড -১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি রাজ্যের পাশে দাঁড়াতে ট্রাম্প বলেছেন, তার প্রশাসন ‘প্রচুর সামরিক কর্মকর্তা, হাজার হাজার সৈন্য, চিকিৎসা কর্মী, পেশাদারদের’ মোতায়েন করবে।

তিনি বলেন, সামরিক বাহিনীকে ‘শিগগিরই’ তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে অবহিত করা হবে, নিউইয়র্ক সিটিতে ১০০০ সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্দেশ জারি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি মেডিক্যাল প্রোডাক্ট অন্য দেশে রফতানি করা যাবে না।

কোরিয়ান যুদ্ধের সময়ে একটি আইনের বলে তিনি এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। প্রতিরক্ষা উৎপাদন আইনে যুক্তরাষ্ট্রের মেডিকেল পণ্যের উৎপাদন ও সরবরাহ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।

হোয়াইট হাউসে করোনাভাইরাস টাস্কফোর্সের ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় চাহিদা মেটাতে আমাদের এখনই এসব সামগ্রী দরকার। আমাদের অবশ্যই এগুলো পেতে হবে।’

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, থ্রিএম নামে যুক্তরাষ্ট্রের একটি মাস্ক তৈরির কোম্পানির ওপর ভীষণ নিরাশ হয়েছেন এবং বলেছেন যে প্রতিষ্ঠানটির উচিত ছিল এমন পরিস্থিতিতে অন্যদের কাছে মাস্ক বিক্রি করার পরিবর্তে নিজ দেশের কথা ভাবা।

তবে জার্মানিতে যাচ্ছিল এমন দুই লাখ মাস্ক যুক্তরাষ্ট্র মাঝপথে নিজেদের ব্যবহারের জন্য নিয়ে নিয়েছে, এমন ‘আধুনিক দস্যুতার’ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি। সামাজিক-দূরত্বের বিষয়ে কড়াকড়ি শিথিল করে আনার প্রশ্নে ট্রাম্প একটি পুরোনো কথাই পুনরাবৃত্তি করেন।

ট্রাম্প নির্দিষ্ট কোন সময় বা তারিখ উল্লেখ না করেই বলেছেন যে, ‘আমাদের দেশটি খুলে দেয়া দরকার। সমস্যার চাইতে এর নিরাময় খারাপ হতে পারে না।’ খবর: বিবিসি।


সর্বশেষ সংবাদ