করোনা: আক্রান্তের কাছে শ্বাস নেয়া বা কথা বলার সময়ও সংক্রমণ হতে পারে

  © ইন্টারনেট

চীনের উহান থেকে উৎপত্তি হওয়া করোনাভাইরাস এখন গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইতালি, স্পেন এবং ফ্রান্সে মৃত্যুপুরী তৈরি করেছে এ ভাইরাস। এছাড়া টালমাটাল করে তুলেছে যুক্তরাষ্ট্রকেও।

এ অবস্থায় হোয়াইট হাউজকে আরও উদ্বেগজনক তথ্য দিয়েছেন দেশটির একদল বিজ্ঞানী। তারা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস শুধু হাঁচি কিংবা কাশির মাধ্যমে নয়, আরও অনেকভাবে ছড়াতে পারে। এমনকি কথা বলার সময় কিংবা শ্বাস নেয়ার সময়ও এ ভাইরাসটি ছড়াতে পারে বলে তারা মনে করছেন।

মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, এ তথ্য জানার পর সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা বাইরে বের হওয়ার আগে মাস্ক পরে নিচ্ছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সের চেয়ারম্যান ড. হার্ভে ফাইনবার্গ হোয়াইট হাউজকে লেখা এক চিঠিতে বলেছেন, বর্তমানে করোনাভাইরাস নিয়ে বিশেষ ধরণের গবেষণা করার সুযোগ সীমিত। তবে প্রচলিত তথ্য ও গবেষণা মোতাবেক, এটি শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গেও সম্পর্কযুক্ত বলে তারা মনে করছেন।

ওই বিজ্ঞানী বলেন, ‘আমি সার্জিক্যাল মাস্ক পরছি না, কারণ স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য তা প্রয়োজন। তবে আমার কাছে বিশেষ ধরণের রুমাল রয়েছে, যেগুলো পরে বাইরে যেতে পারছি। এছাড়া সুরক্ষিত থাকার জন্য আরও কিছু ভালো বিকল্প রয়েছে।’

হোয়াইট হাউজের বিজ্ঞান ও নীতি নির্ধারণ বিষয়ক কিছু তথ্য জানতে চাওয়ার পর তারা চিঠি দিয়ে এ ধরণের তথ্য জানিয়েছেন দেশটির শীর্ষ বিজ্ঞানীরা। আক্রান্ত ব্যক্তির ছয় ফুটের মধ্যে থাকলেও ভাইরাসটি ছড়াতে পারে বলে তারা জানিয়েছেন। এছাড়া ভাইরাস ছড়ানোর কারণ হিসেবে শ্বাস-প্রশ্বাস ও কথা বলার সময়কার কথা বলেছেন।

ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, চীনের একটি হাসপাতালের গবেষণা অনুযায়ী, ডাক্তার কিংবা নার্সরা যখন তাদের সুরক্ষা সরঞ্জাম পরিবর্তন করেন, কিংবা যখন মেঝে পরিষ্কার করা হয় বা কর্মীদের চলাচলের সময়ও ভাইরাসটি ছড়াতে পারে। তবে এটি হাম কিংবা যক্ষার মতো নয় বলেও তারা জানিয়েছেন।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৫৭ হাজার ৩৭৯ জন। মারা গেছেন ছয় হাজার ৫৫৮ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১১ হাজার ৯৪১ জন।


সর্বশেষ সংবাদ