পিপিই নেই, রেইনকোর্ট-হেলমেট পরে লড়ছেন ভারতীয় চিকিৎসকরা

  © সংগৃহীত

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে করোনা ছড়িয়ে পড়ার হার কম হলেও দিনকে দিন তা বাড়ছে। আর এই বৃদ্ধির তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারত। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার ফলে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হতে চিকিৎসতদের। সঙ্কট দেখা দিয়েছে পারসোনাল প্রটেক্টিভ ইকুয়েপমেন্টের (পিপিই)। আর সেজন্য দেশটির চিকিৎসাখাত সংশ্লিষ্টরা রেইনকোট এবং মোটরবাইকের হেলেমেট পরেই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও ২২৭ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,২৫১ জনে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩২। চলতি সপ্তাহের দেশটিতে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আগামী মে মাসের মাঝের দিকে দেশটিতে এক লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন। এর ফলে দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং চিকিৎসকদের ওপর মারাত্মক চাপ তৈরি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

গত সপ্তাহে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের বেলঘাটা সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা প্ল্যাস্টিকের রেইনকোট পরে রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। এই হাসপাতালের দু'জন চিকিৎসক রয়টার্সকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন এবং রয়টার্স চিকিৎসকদের রেইনকোট পরার ছবি দেখতে পেয়েছে।

বেলঘাটা হাসপাতালের একজন চিকিৎসক বলেন, আমরা আমাদের জীবনের বিনিময়ে কাজ করবো না। কর্তৃপক্ষ প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে এমন আশঙ্কায় নাম প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি। এ ব্যাপারে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্তাবধায়ক ডা. আশীষ মান্না মন্তব্য করতে রাজি হননি।

অন্যদিকে, রাজধানী নয়াদিল্লির উত্তরাঞ্চলের হরিয়ানা প্রদেশের ইএসআই হাসপাতালের চিকিৎসক সন্দ্বীপ গর্গ বলেন, এন৯৫ মাস্ক না থাকায় তিনি মোটরবাইকের হেলমেট পরে রোগীদের চিকিৎসা দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি একটি হেলমেট পরেছিলাম। এর সামনে একটি মুখাবরণ রয়েছে; যা আমার মুখ ঢেকে রাখে। এর পাশাপাশি তিনি সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করেন।

রয়টার্স এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নয়াদিল্লির ফেডারেল সরকারের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা এখন শুধুমাত্র প্রার্থনা করে বেঁচে আছি। এটা এমন নয় যে, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে আমরা বাঁচতে পারবো।

সূত্র- রয়টার্স।