ক্রেন দিয়ে সমাধিস্থ হলেন করোনায় মৃত বাংলাদেশি তৃষা!

  © সংগৃহীত

করোনাভাইরাসে নিউইয়র্কে জীবন দিলেন বাঙালিনী তৃষা। মৃত্যুর তিনদিন পর সমাধিস্থ হলেন লং আইল্যান্ডে। সম্পূর্ণ যান্ত্রিক পদ্ধতিতে সম্পন্ন হলো দাফন-কাফন। ক্রেন দিয়ে কবরে নামানো হলো তরুণীর মরদেহ।

কোবিড ১৯-এ আক্রান্ত তৃষা মারা যান গত ২৩ মার্চ। নিউইয়র্কে জ্যামাইকার হাইল্যান্ড অ্যাভিনিউয়ে ছিলো বসবাস। স্বামী বোরহান চাকলাদার পেশায় ‘উবার’ চালক। তিনটি শিশু সন্তানের দুটি মেয়ে একটি ছেলে। কনিষ্ঠ কন্যাটির বয়েস মাত্র ১৪ মাস। নিউইয়র্কে তৃষার প্রবাসজীবন মাত্র চার বছরের।

বাবা মনির হোসেন হাওলাদার একাত্তরের বীর-মুক্তিযোদ্ধা। পৈতৃকবাস মুন্সিগন্জের সিরাজদিখান উপজেলার মধ্যপাড়া-তেলিপাড়ায়। তৃষার পুরো নাম আমিনা ইন্দালিব। জন্ম ১৯৮২-এর ১৬ জানুয়ারি মুন্সিগন্জে। গুণবতী ও রূপবতী হিসেবে ছিলেন সবার প্রিয়ভাজন। তার আকস্মিক প্রয়াণে স্বদেশে-প্রবাসে শোকের ঢল নেমেছে।

১৪ মাসের শিশু-সন্তানটির প্রতিপালন নিয়েও সিদ্ধান্তহীনতা চলছে। তবে সিটির পুলিশবিভাগ সরকারিভাবে লালন-পালনে আগ্রহী।

উল্লেখ্য, করোনায় নিহতদের লাশ দাফন নিয়েও সমস্যা বিস্তর। স্বাস্থ্যবিধিতে হাত দিয়ে লাশ ধরার বিধান নেই। করোনা ‘ছোঁয়াছুঁয়ি’ রোগ হওয়ায় সেবাকর্মীরা সমাধিকর্মে অনাগ্রহী। তবুও বাংলাদেশ সোসাইটির হস্তক্ষেপে জটিলতার নিরসন হয়।

লং-আইল্যান্ডের কবরস্থানে দ্রুত ‘সমাধি’ বরাদ্দ দেয় সোসাইটি। সভাপতি-সম্পাদক কামাল আহমেদ ও রুহুল-আমিন সিদ্দিকী তৎপর হন। অবশেষে ২৬ মার্চ ধর্মীয় মর্যাদায় দাফনকর্ম সম্পন্ন হয়। ক্রেনের মাধ্যমে কবরে নামানো হয় মরহুমার কফিন।

(ক্লাইমেট রিয়েলিটির অ্যাম্বাসেডর এবং এসডিআই-বাংলাদেশ’র কান্ট্রি ডিরেক্টর সম্রাট বড়ুয়ার ফেসবুক পেজ থেকে।)


সর্বশেষ সংবাদ