নারীদের প্রতি আকর্ষণ নেই কার, প্রশ্ন পাপিয়ার

রাজধানীর হোটেলে তরুণীদের দিয়ে অনৈতিক কাজ চালিয়ে প্রভাবশালীদের ব্ল্যাকমেইলিং, তদবির বাণিজ্য, অবৈধ অস্ত্র রাখাসহ নানা অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে মহিলা ‍যুব লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেত্রী পাপিয়ার বিরুদ্ধে। প্রতিদিনই এমনই কোনো না কোনো নতুন তথ্য পাচ্ছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। তাঁর বিরুদ্ধে পাহাড় সমান অভিযোগ পেয়ে সেসব যাচাই-বাছাই করে এরই মধ্যে অনেক সত্যতাও মিলেছে।

তবে গুরুতর অপরাধ সম্পর্কিত প্রশ্নে নিরব থাকছেন তিনি। কিছু প্রশ্ন এড়িয়ে যাচ্ছেন কৌশলে। আবার প্রশ্নের উত্তরে পাল্টা প্রশ্নও করছেন তিনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্মকর্তাদের করা যৌনব্যবসা সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তিনি বলেন, নারীদের প্রতি আকর্ষণ কার নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জিজ্ঞাসাবাদকারী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে পাপিয়া বলেন, ‘নারীদের প্রতি আকর্ষণ কার নেই। এখন সব দোষ পাপিয়ার হবে কেন? প্রায় পুরুষই নারীলোভী।’

যুব মহিলা লীগের তিন শীর্ষ নেত্রী, ১১ জন মন্ত্রী, ক্যাসিনো কারবারে জড়িত যুবলীগের সাবেক নেতাসহ নরসিংদীর আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা রয়েছেন। তাঁদের প্রশ্রয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পাপিয়া কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেছেন।

এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদে শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের নামও উল্লেখ করেছেন তিনি। তাদের আগ্রহেই রুশ যৌনকর্মীদের ঢাকায় এনেছিলেন বলেও জানিয়েছেন পাপিয়া- এমনটাই বলা হয়েছে সেই প্রতিবেদনে।

প্রসঙ্গত, অস্ত্র, মাদক ও জাল টাকার পৃথক তিনটি মামলায় যুব মহিলা লীগের নরসিংদী জেলার বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নুর পাপিয়াকে গত সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ১৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমনও ১৫ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। এছাড়াও তাদের সহযোগী সাব্বির খন্দকার ও শেখ তায়্যিবকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। গত ২২ ফেব্রুয়ারি তাদের গ্রেফতার করে র‌্যাব।


সর্বশেষ সংবাদ