চলে গেলেন কাট–কপি–পেস্টের উদ্ভাবক

  © সংগৃহীত

কম্পিউটারে দারুণ জনপ্রিয় ‘কাট’, ‘কপি’ ও ‘পেস্ট’ ফাংশনের জনক কম্পিউটার বিজ্ঞানী ল্যারি টেসলার (৭৪) আর নেই। ১৭ ফেব্রুয়ারি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। বিবিসির এক খবরে বলা হয়, কম্পিউটার বিজ্ঞানী টেসলারের ‘কাট’, ‘কপি’, ‘পেস্ট’ কমান্ড সিস্টেমসহ বেশ কিছু আবিষ্কার মানুষের কাছে কম্পিউটার ব্যবহারকে সহজ করে তুলেছে।

জেরক্স কম্পানিতে রিসার্চের কাজ করতেন টেসলার, তবে পরবর্তীকালে কাজ করেছেন অ্যাপেল, ইয়াহু, এবং অ্যামাজনের মতো বিশ্বের বৃহত্তম কয়েকটি প্রযুক্তি সংস্থায়। বিল গেটস, স্টিব জোবস, ডেনিস রিচির মতো তিনি সাধারণ মানুষের কাছে ততটা পরিচিত না হলেও টেকনলজির সঙ্গে জড়িত মানুষের কাছে ল্যারি টেসলার একটি গুরুত্বপূর্ণ নাম।

টেসলার জন্মগ্রহণ করেছিলেন নিউ ইয়র্কে, ১৯৪৫ সালে। পরবর্তীতে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ে পড়ালেখা করেন তিনি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি বিষয়েও নিজের আগ্রহ দেখিয়েছিলেন টেসলার। তখনও অবশ্য প্রযুক্তিটি নিয়ে এতো গবেষণা শুরু হয়নি। ১৯৭৩ সালে ‘জেরক্স পলো আল্টো রিসার্চ সেন্টারে’ (পিএআরসি) চাকরি নেন তিনি।

পড়াশোনা শেষ করার পর তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা জেরক্স-এ যোগ দেন। সেখানে কাজ করার সময় ১৯৭০ সাল নাগাদ তিনি এই কাট-কপি-পেস্টের কনসেপ্ট আবিষ্কার করেন। সে সময় তিনি জেরক্স পালো অল্টো রিসার্চ সেন্টারে কাজ করছিলেন।

জেরক্সের পর তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা অ্যাপল-এ যোগ দেন। সেখানে তিনি ১৯৮০ থেকে ১৯৯৭-এর মাঝামাঝি পর্যন্ত কাজ করেন। অ্যাপল নেট-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট-এর দায়িত্ব সামলেছেন। এর পর তিনি নিজে একটি সংস্থা গড়ে তোলেন, 'স্টেজকাস্ট সফটওয়ার'। এই সংস্থা, বাচ্চাদের প্রোগ্রামিং কনসেপ্ট শিখতে সাহায্য করে। পরে অ্যামাজনে যোগ দেন। সেখান থেকে যোগ দেন ইয়াহুতে। মৃত্যুর আগে তিনি সান ফ্রানসিস্কোর বে এরিয়াতে নিজের অফিসে টেকনোলজি সংক্রান্ত কনসালটেন্সির কাজ করেতেন।


সর্বশেষ সংবাদ