এবার করোনাভাইরাসে প্রাণ গেল হাসপাতাল পরিচালকের

  © সংগৃহীত

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে চিকিৎসক-নার্সদের সঙ্গে নির্ঘুম রাত কাটানো উহানের উচ্যাং হাসপাতালের পরিচালক লিউ ঝিমিং কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এ লড়াইয়ে নেতৃত্বে থেকে সবাইকে প্রেরণা যোগাচ্ছিলেন তিনি। ভয়াবহ এ ভাইরাসের আক্রমণে মৃত্যুর মিছিল ঠেকাতে চিকিৎসক-নার্সদের সঙ্গে লড়াই চালিয়েছেন এই চিকিৎসক।

প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের সংক্রমিত হয়ে অনেক রোগী লিউ ঝিমিংয়ের হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ফিরলেও প্রাণে বাঁচতে পারলেন না লিউ নিজেই। চীনা সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।

চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকেই বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯। ভাইরাসের প্রকোপের শুরু থেকেই রোগী ও মেডিকেল স্টাফদের সঙ্গে থেকে তাদের উৎসাহ ও প্রেরণা যোগাচ্ছিলেন লিউ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকেই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হলো।

সোমবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় উহানের উচাং হাসপাতালের এই পরিচালকের মৃত্যু হয়েছে। চীনের কোনো হাসপাতালের প্রধান হিসেবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম প্রাণ হারালেন লিউ ঝিমিং।

উচ্যাং হাসপাতালের সংশ্লিষ্টদের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, লিউর মৃত্যুতে ভেঙ্গে পড়েছেন তার সহকর্মী চিকিৎসকরা। একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, লিউ বেশ সুস্থ-সবল মানুষ ছিলেন। করোনাভাইরাস তাকেও কেড়ে নেবে, ভাবতে পারছেন না কেউ।

গত শুক্রবার একই হাসপাতালের লিউ ফ্যান নামে ৫৯ বছর বয়সী একজন নার্স এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। পরে তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৯০ হাজার ডলার দেওয়া হয়েছে।

চীনা কর্তৃপক্ষ জনিয়েছে, হাসপাতালে কর্মরত কোনো চিকিৎসক বা নার্স কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে তাদের শহীদের মর্যাদা দেওয়া হবে। পাশাপাশি তাদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ৭৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮৮৬ জন। সবমিলিয়ে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৮৬৮ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৭২ হাজার ৪৩৬ জন। এদের মধ্যে ১১ হাজারের বেশি রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। চীনের বাইরে হংকং, তাইওয়ান, জাপান, ফিলিপাইন ও ফ্রান্সে একজন করে মোট পাঁচজন মারা গেছেন।


সর্বশেষ সংবাদ