এবার নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখোশধারীদের হামলা (ভিডিও)
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২০, ০৯:০৯ PM , আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২০, ১০:১৪ PM
দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ) মুখোশধারীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ হামলায় ছাত্র সংগঠনের সভাপতি ঐশী ঘোষসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে এ ঘটনায় ঠিক কত জন আহত হয়েছেন বা কারা এ হামলা চালিয়েছেন তার সঠিক কোন তথ্য জানা যায়নি।
রবিবার (০৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রায় পঞ্চাশজন মুখোশধারী এ হামলা চালায়। এসময় তাদের হাতে বড় বড় লাঠি-পাথর নিয়ে একের পর এক হোস্টেলে তাণ্ডব চালায়। মুহূর্তের মধ্যে গোটা ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কিত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছোটাছুটি করতে থাকেন।
শিক্ষার্থীদের একাংশের দাবি, অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি) সদস্যরাই এই হামলা চালিয়েছেন। যদিও সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে সংগঠনটি। তাদের পাল্টা দাবি, বামপন্থীরাই তাঁদের হোস্টেলে এ দিন প্রায় আট ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালিয়েছে।
এই হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন ছাত্র সংগঠনের সভাপতি ঐশী ঘোষ। তাঁকে এদিন সন্ধ্যায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। হামলার ফলে দৃশ্যত আতঙ্কিত ঐশীর বলেন, ‘মুখোশপরা গুন্ডারা আমাকে নৃশংস ভাবে আক্রমণ করে। আমাকে বেদম পিটিয়েছে। আমার রক্ত ঝরছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক অতুল সুদ বলেন, ‘কারা হামলা করেছে, তাঁদের আমি চিনতে পারিনি। তবে হাতে লাঠি-পাথর নিয়ে একের পর এক হস্টেলে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়েছে ওরা। ওদের হাতে বড় বড় পাথর ছিল, যাতে আমাদের অনেকেরই মাথা ফেটে যেতে পারত। এক বার আমি পড়ে যাই। এর পর যখন বাইরে বার হই, দেখলাম আমার গাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে ওরা।’
এই হামলার পেছনে অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ছাত্র সংগঠন এবিভিপির বিরুদ্ধে। তবে সে অভিযোগ অস্বীকার করে এবিভিপির সভাপতি দুর্গেশ কুমারের পাল্টা প্রশ্ন, ‘গত দু’মাস ধরে কারা ক্যাম্পাসে অশান্তি ছড়াচ্ছে? ৫০-৬০ জন কি হাজার জনকে মারতে পারে?’
এ হামলার ঘটনায় রীতিমতো হতবাক দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘জেএনইউতে হিংসার ঘটনায় আমি শক্ড। শিক্ষার্থীদের নৃশংসভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। পুলিশের উচিত অবিলম্বে এই হিংসা থামিয়ে শান্তির ফিরিয়ে আনা। নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেই যদি শিক্ষার্থীরা সুরক্ষিত না থাকতে পারেন, তবে দেশের উন্নতি হবে কী করে?’
কেজরীবালের মতোই এই ঘটনার নিন্দা করেছেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। টুইট করে তিনি লিখেছেন, ‘জেএনইউতে যেভাবে মুখোশধারী অপরাধীরা শিক্ষার্থী ও অধ্যাপকদের উপর হামলা চালিয়েছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করা উচিত।’
প্রসঙ্গত, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির প্রতিবাদে গত ১৭ ডিসেম্বর ভারতের জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় ব্যাপক সংঘর্ষের জেরে ক্যাম্পাসে ঢুকে ছাত্রদের বেধড়ক পিটিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। এসময় শতাধিক মোটর বাইক, অন্তত তিনটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। ওইদিন পুলিশ গেলে তাদের সঙ্গেও ব্যাপক সঙ্ঘর্ষ হয়।
BREAKING NEWS from #JNU#Media, civil society people move quickly to Jawaharlal Nehru University in Delhi right now.
— Natasha Badhwar (@natashabadhwar) January 5, 2020
There are masked, armed persons entering hostels and attacking students.
Video of Aishe Ghosh, President, JNUSU injured in attack. pic.twitter.com/JmAKobWRji