তাফিদাকে বাঁচাতে মা-বাবার আকুতি

প্ল্যাকার্ড হাতে রাকিব-সেলিনা দম্পতি
প্ল্যাকার্ড হাতে রাকিব-সেলিনা দম্পতি  © সংগৃহীত

মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে আক্রান্ত হয়ে শিশু তাফিদা রাকিব রয়েল লন্ডন হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। তার পরিবার তাকে ইতালিতে নিয়ে চিকিৎসা করাতে চায়। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলতে চায় তফিদার। তফিদাকে বাঁচাতে তাই প্ল্যাকার্ড হাতে রাস্তায় নেমেছেন তার মা-বাবা।

জানা গেছে তাফিদার পরিবার তাকে ইতালিতে নিয়ে যেতে রয়েল লন্ডন হাসপাতালের ছাড়পত্র চাইলে তারা তা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করে। এরপর আদালতের দ্বারস্থ হন সেলিনা রাকিব। অন্যদিকে লাইফ সাপোর্ট খুলে তাফিদাকে মৃত্যুর মুখে ছেড়ে দিতে অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে রয়েল লন্ডন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও।

লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলার অনুমতি দিতে রয়েল লন্ডন হাসপাতালের অব্যাহত চাপে ‘সন্তানের জীবনাবসানের পক্ষে মা-বাবার সম্মতি দেয়া ধর্মীয় বিধান মতে পাপ’ ইসলামিক কাউন্সিল অব ইউরোপের দেয়া এমন ফতোয়া তাফিদার মা সেলিনা রাকিব আদালতে দাখিল করেন। এ নিয়ে লন্ডনের উচ্চ আদালতে শুনানিকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উল্টো যুক্তি দেখিয়ে আদালতে তাফিদার পরিবারের মহিলা সদস্যের উপস্থিতির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চায়। তবে আদালত তা নাকচ করে দেন।

বৃহস্পতিবার তাফিদাকে বাঁচানোর দাবিসংবলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে আদালতে হাজির হন রাকিব-সেলিনা দম্পতি। একই দাবি জানিয়ে আদালতের বেষ্টনীতে ঝোলানো হয় তাফিদার ছবিসহ ব্যানার।

পেশায় আইনজীবী সেলিনা রাকিব আদালতকে বলেন, আমি বিশ্বাস করি, তাফিদা ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছে। আমি বুঝি, আমার কণ্ঠ শুনে সে সাড়া দেয়। তাফিদা এভাবে বেঁচে থাকলেও আমি, তার বাবা ও ভাই তাকে দেখতে পাব, আদর করতে পারব।

এদিকে, তাফিদার বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাজ্যের মূলধারার সংবাদমাধ্যমগুলো সোচ্চার। ব্রিটেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিমও হাসপাতালে তাফিদাকে দেখে এসে তার চিকিৎসার জন্য ইতালিতে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে সমর্থন ব্যক্ত করেন।